সীমান্তে চোরাকারবার-অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন কৌশলে বিজিবি দিশেহারা চোরাকারবারী

মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষংছড়ি :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি- মায়ানমার, সীমান্তের চোরাকারবার ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন কৌশলে অভিযান শুরু করেছে  নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি।  বিজিবি  ৩  কৌশলে এ অভিযান শুরু করেছেন গত ক’দিন ধরে। আর এ কৌশলে সুফলও পাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে কোটি টাকা নানা পণ্য জব্দ  করেছেন এ সময়। পাশাপাশি দিশেহারা হয়ে পড়েছে  চোরাকারীদলও।
 সরেজমিন গিয়ে মঙ্গলবার  নানা মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য  পান এ প্রতিবেদক।বিজিবি সূত্র জানান,তাদের দায়িত্বপুর্ণ এলাকা হল নিকুছড়ি ধেকে আলীকদম সীমানা পর্যন্ত। দীর্ঘ এ সীমান্ত এলাকায় বিজিবি চৌকিতে থেকে ২ কৌশলে সীমান্ত এলাকা পাহারা  দিতেন। এর ১ টি হল পা হেটে অন্যটি চৌকি থেকে সোর্স বসিয়ে। তবে আঁকা-বাঁকা ও উচু-নিচু সীমান্ত সড়কে পায়ে হেটে চোরাচালান বন্ধ অতি কঠিন কাজ ছিল। সে কারণে চেরাকারবারীরা অনেকটা পার পেয়ে যেত।  বর্তমানে নতুন কৌশলে এ টহল দেয়া হচ্ছে। আর হলো বিজিবির গাড়ি নিয়ে নিয়মিত এবং সার্বক্ষণিক টহল।সীমান্তের বাসিন্দারা জানান,সীমান্তে চোরাকারবার বেড়েছে গত ২ বছর ধরে।
জঙ্গলাকীর্ণ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিজিবি অভিযান চালালেও চোরাকারবারীরা নানা ফন্দি এটে  তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল অতি গোপণে।তারা সে দেশ থেকে আসা ইয়াবা টেবলেট,মদ,মেথ স্বর্ণ, পশু ও অন্যান্য  নিয়ে আসে।
আর এ দেশ থেকে পাচার করে ইউরিয়া সার,চাল,ভোজ্য তেল,জ্বালানি তেল সহ কয়েকশ প্রকারের পণ্য।
এ অবস্থায় ১১ বিজিবি কতৃপক্ষ তাদের আগের কৌশলের কিছু নতুনত্ব নিয়ে পরিকল্পনা হাতে নেন। তারা  সীমান্তে রাত-দিন টহল জোরদার করে ৩ কৌশলে।যেমন  পা হেঁটে টহল,অস্থায়ী ক্যাম্প বসিয়ে নজরদারী  ও  গাড়ি যোগে সার্বক্ষণিক টহলের মাধ্যমে অভিযান।
সূত্র আরো জানান,এভাবে গত কয়েক সপ্তাহ  ধরে এ অভিযান চালান পরিবর্তিত কৌশলে। সফলও হন এতে।  যাতে  জব্দ হচ্ছে কোটি টাকার মালামাল। ছবিটি সোমবার সন্ধ্যা ও রাতে তোলা হয়েছে  সীমান্তের  ৪৭ ও  ৪৯ নম্বর পিলার এলাকা  থেকে।
যা আগে শুধু পা হেঁটে বা  অস্খায়ী চৌকি বসিয়ে সীমান্তে  পাহারা দেয়া হত।
 নতুন কৌশলের  সীমান্তে চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্যে করা অভিযানের  বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্তার  লে: কর্ণেল  সাহল আহমদ নোবেল।  তিনি বলেন,এবার সব ধরণের চোরাই কারবার  বন্ধ করার বিষয়ে নিয়ে চক এঁকেছেন তিনি।  যার মাধ্যমে অতি   দ্রুত সবই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে তিনি  জানান এ প্রতিবেদককে।
এ ছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ যেন না হয় তার জন্যে তিনি কঠোর সতর্কাবস্থানে রেখেছেন তার জোয়ানদের।