মুরাদনগরে তারেক রহমান ও কায়কোবাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানববন্ধন

মো.আনোয়ার হোসাইন, কুমিল্লা:
কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, পাঁচ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিশাল মানববন্ধন করেছে উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়। শনিবার(২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রবেশ ফটক সংলগ্ন সড়কে প্রায় ২কিলোমিটার দীর্ঘ ওই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের হিন্দুসমাজের লোকজন সম্মিলিত ভাবে ওই মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে সনাতনী সম্প্রদায়ের বক্তারা বলেন, কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তার আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর একটি আঁচড় কাটাতে পারেনি কেউ। বিগত সরকারের আমলে সনাতনী সম্প্রদায় নির্যাতিত হয়েছে। কায়কোবাদ নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ বিধায় পরপর ৫বার জনগন তার উপর অবিচল আস্থা রেখেছে। তার মতো নেতা দেশের গর্ব। বিগত সরকারের আমলে তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে দেশের বাহিরে রেখেছে।
সনাতনী সম্প্রদায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট অনুরোধ করেন, অনতিবিলম্বে তারেক রহমান ও কায়কোবাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল প্রহসনের মামলা বিলুপ্ত করতে। ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয়বার অধিকতর তদন্ত করে তারেক রহমান ও কায়কোবাদকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র প্রদান করেন। মামলায় কায়কোবাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রমাণ ও স্বাক্ষী পাওয়া না গেলেও তার বিরুদ্ধে রায় প্রদান করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে লড়াই সংগ্রাম করেছে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও ছাত্র সমাজ। সেই সংগ্রামে দৃঢ়ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন কায়কোবাদ। জুলাই-আগস্ট বিল্পবে প্রবাস হতে আন্দোলন সফল করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন তিনি। তাকে একনজর দেখতে মুরাদনগরবাসী আকাঙ্খা ও উদ্দীপনা নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অরুপ নারায়ণ পোদ্দার পিংকু, অঞ্জন রায়, দুলাল দেবনাথ, দয়ানন্দ ঠাকুর, শংকর রায়, প্রাণজিত কুমার মজুমদার, দীন দয়াল পাল, অধ্যাপক নিত্যানন্দ রায়, গৌরাঙ্গ দেবনাথ প্রমূখ।