বান্দরবান প্রতিনিধি :
বান্দরবান রুমা উপজেলার গহীন জঙ্গলে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কুকি-চিন ন্যাশনাল (কেএনএ) গোপন আস্তানার খবর পেয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযান চলাকালীন আতর্কিত সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কেএনএ সন্ত্রাসী’রা এ সময় সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালালে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত তিনজন কেএনএ সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলায়,বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার গহীন জঙ্গলে কেএনএর গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে,সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এছাড়া অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার হয়েছে।এ অভিযান চলমান রয়েছে।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার গহীন জঙ্গলে সেনাবাহিনী কেএনএফের গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। পরে সকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে অভিযানে যায়। অভিযানের সময় বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,এ সময় কেএনএফের আস্তানা থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী পরিমাণ অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দি জানান, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের একটি স্থানে কেএনএফের সাথে সেনাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে ৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা কেএনএফ সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
প্রসঙ্গতঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের এক নতুন সশস্ত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। বান্দরবানের বম জাতিগোষ্ঠীর কিছু ব্যক্তি এটি গড়ে তুলে
২০২০ সালে বম জনগোষ্ঠীর কিছু বিপথগামী যুবক কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের এই উগ্রবাদী সংগঠন যোগ দেয়।
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সক্রিয় জাতিগত এই সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন,বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলায় হত্যা,লুটপাট,মুক্তি পণ দাবিসহ একাধিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত হয়ে। সর্বশেষ রুমা ও থানচি উপজেলায় তিন ব্যাংকর শাখায় ব্যাংক ডাকাতি করে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে ।
তাদের সশস্ত্র কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় কেএনএ নিমূর্লে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। অভিযানে এই পর্যন্ত কেএনএফের মোট ১২০ জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কিছু মামলা হয়েছে।যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে আত্মগোপনে চলে যায়।
৫ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সরকার পরিবর্তনের পর আবারো সক্রিয় হয়ে,সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে শুরু করে এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ।