নুরুল আলম, চন্দনাইশ :
দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ বহুদিন ধরে যাতায়াতে কষ্ট পাচ্ছে, বিশেষ করে বৃহস্পতি শনি,রবিবার দিন ভীষণ দুর্ভোগে পড়ে,তাই কর্ণফুলী ব্রীজ এলাকার পাশে একটা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করার ব্যবস্থা করা হবে। চসিক এলাকাকে সম্প্রসারন করে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ জেলার কতিপয় এলাকা অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা মাথায় আছে। চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইখতিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় সম্বর্ধিত অতিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র বক্তব্যে আরো বলেন,
তিনি জিয়ার কনসেপ্ট ধারণ করে খাল খনন কর্মসূচি চালু করবেন।চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করার বড় উপায় এ’ কর্মসূচি। ১৯৮০ সালে জিয়া চন্দনাইশে বরুমতি খাল খনন করেছিলেন এবং খালের পাড়ে যে বৈঠক খানা স্থাপিত হয়েছিল তা আবার পুনঃ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান।
চসিক মেয়র ডা: শাহাদাত বলেন, আওয়ামী লীগ পালানোর দল, শেখ মুজিবের জানাজায় এরা উপস্থিত হয় নাই, জুলাই-
আগষ্ট বিপ্লবে পালিয়ে গেছে।এখন দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হলে আমরাও বসে থাকবোনা। তিনি সম্প্রতি বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করেন।
দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি, ছাত্র দল,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্যাতন,জেল,মামলায় হয়রানী হওয়া নেতা কর্মীদের স্মরণ করেন এবংঅন্তরে আছেন বলে উল্লেখ করেন। তাঁর জন্মস্থান চন্দনাইশ ইতিহাস, ঐতিহ্য উল্লেখ করে বলেন জেএমসেন,মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, ভাষা আন্দোলনের প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম,৭১ যুদ্ধের বীর সৈনিক কর্ণেল অলি, জাতীয় অধ্যাপক ডাক্তার নুরুল ইসলাম সহ বহু গুণী জনের জন্মস্থান চন্দনাইশ। তিনি সব সময় চন্দনাইশের মানুষের সুখে দুখে ছিলেন, ভবিষ্যতে ও থাকবেন বলে জানান।
চসিক মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেনের সম্বর্ধনা উপলক্ষে চন্দনাইশ ত্রি-ধারায় বিভক্ত বিএনপি নেতৃস্থানীয় কর্মীরা ভেদভেদ ভুলে সভায় উপস্থিতি দেখা যায়। চন্দনাইশ উপজেলার প্রতি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ছাড়া ও সাতকানিয়াউপজেলা হতে ব্যানার মিছিল নিয়ে কর্মীরা যোগদান করে। গত কাল ৭ ডিসেম্বর বিকেলে চন্দনাইশ সদরস্থ কাসেম – মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে মাঠ ভর্তি হয়ে রাস্তা পর্যন্ত জন সমাগম ঘটে।
সম্বর্ধনা সভায় স্থানীয়,নগর, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।