নিজস্ব প্রতিনিধি :
১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইন সহায়তা ফাউন্ডেশন (আসফ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও র্যালির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সঞ্চালনা করেন দিদারুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট, সাংবাদিক কামাল পারভেজ। প্রধান আলোচক ছিলেন সাংবাদিক কামরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক খোরশেদুল আলম, সাইফুল ইসলাম, দিদারুল আলম, জসিম উদ্দিন রফিক, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
প্রধান আলোচক কামরুল হুদা বলেন, “গত ১৫ বছরে গুম, হত্যা ও খুনের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারকে ধরে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।” প্রধান অতিথি মোহাম্মদ কামাল পারভেজ বলেন, “আজকের এই দিনটি অনেককে দেখি ব্যানার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পালন করতে। সত্যিকার অর্থে তাদেরকে সারা বছর খুঁজেও পাওয়া যায় না। যারা সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার করেন, তাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এই ধরনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে কেউ যেন এই ধরনের কাজ করতে না পারে, তাদের কাজে হলো মানবাধিকার হনন করা। শুধু তাই নয়, আমরা আজকেও দেখেছি অনেক ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করতে। অবশ্যই সকলকে খেয়াল রাখতে হবে এই বিষয়গুলি। তারা যেন নতুন রূপে অন্য কোথাও গিয়ে দাঁড়াতে না পারে। প্রধান অতিথি বক্তব্যে আরও বলেন – রাজনীতি আর মানবাধিকার সংগঠন কার্যক্রম এক সাথে করা যায় না। রাজনীতি করলে কখনোই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। মানবাধিকার সংগঠন করতে হলে নিজেকে নিরেপক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে এবং জনসাধারণের মানবাধিকার লঙ্ঘিত বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রধান অতিথি আরও বলেন যেখানে বিগত সরকারের সময় প্রতিনিয়তই রাষ্ট্রযন্ত্র কতৃক সাধারণের উপর স্টিমরোলার চালানো হয়েছে সেটাই ছিলো পৃথিবীর সবচাইতে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা এরকম সরকার চাইনা এবং পরবর্তী যেই দল ক্ষমতায় আসুক মানবাধিকার সংগঠন তারা তাদের নিজস্ব কাজ স্বাধীন ভাবে করতে পারে তারও নিশ্চিয়তা দিতে হব।
মানববন্ধন ও র্যালিতে বক্তারা মানবাধিকার রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তারা মানবাধিকার বিষয়ে সমাজে সচেতনতা তৈরি এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।