পরিবেশ আন্দোলনের নামে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এরা কারা!

সুলতানা – রানা – জামিল যোগসূত্রে “ধরা” আবিষ্কার

কামাল পারভেজ :

বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের উত্থানের পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদকে আবার ফিরে আনার জন্য ইন্ডিয়ান একটি কন্সপিরেসি আছে। সেটা হচ্ছে যে ইন্ডিয়ান যারা, ইন্ডিয়ান ইন্টারেস্টকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করার জন্য পরিবেশবাদী আন্দোলনগুলোর নাম দিয়ে কিছু ইনস্টিটিউশন হাসিনা সরকারের পতনের আগে থেকেই কাজটা শুরু হয়েছে এবং এটা সব থেকে বড় ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে, এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে সুলতানা কামাল এবং তার দোসররা। আপনারা জানেন যে বিভিন্ন সময় যেমন শেখ হাসিনার সময় যেমন মানবাঅধিকার নিয়ে কথা বলেছিল তখন সে অধিকারের রিপোর্টকে ভুয়া রিপোর্ট এবং এই ধরনের ইলেকশন নিয়ে যে ধরনের সহিংসতা হয়েছে তার পক্ষে এবং হাসিনার পক্ষে কিন্তু দাঁড়িয়ে ছিল সুলতানা কামাল, এইটাকে হাসিনা ব্যবহার করেছে সেই সময়। সুলতানা কামালকে এন্ডরোজ করার জন্য “ধরা” নামের একটা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তৈরি হয় এবং তার ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে সবচাইতে বড় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে শরীফ জামিল এক সময় সে বাপা এর সেক্রেটারি ছিল। সে এখন বাংলাদেশের সীমান্ত এরিয়া এবং কোস্টাল এরিয়াতে যেখানে কেপিআই আছে সেই সব জায়গার মধ্যে পরিবেশ আন্দোলনের নাম দিয়ে ভারতের ইন্টারেস্টকে এক ধরনের ইমপ্লিমেন্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে বাংলাদেশকে সহিংস করা এবং বাংলাদেশের সরকারকে জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সরকারকে আরো বিতর্কিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের দোসর কারা কারা এটা যদি লক্ষ্য করি তাহলে আমরা দেখব যে চট্টগ্রামে “ধরা”র এবং শরীফ জামিলের ডান হাত এবং সবচেয়ে বড় কোলাবরেটর হচ্ছে হিন্দু – বৌদ্ধ – খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এবং তাদেরই হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের আরো বেশ কিছু সদস্য আছে তারা ভারতীয় RAW এজেন্ট হিসেবে হবিগঞ্জে, সিলেটে, চট্টগ্রাম ও কক্সেসবাজারে এই বাংলাদেশে সব সীমান্ত এলাকাতেই কিন্তু তারা এই কার্যক্রম গুলো তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং তাদের কার্যক্রমের স্থানীয় পর্যায়ের যত ধরনের সাংগঠনিক কাঠামো ও অন্যান্য যে কাজগুলো হয় সেগুলো রাণা দাশগুপ্ত ও শরীফ জামিল মিলে করছে। সুতরাং এরা যতটুকু না পরিবেশের ছাতার মধ্যে কাজ করছে তার থেকে বেশি ভারতীয় এজেন্ডার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এদেরকে যদি ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে আগে থেকে চিহ্নিত করতে না পারা যায়, তাহলে অনেক বড় বিপদ হয়ে যাবে বলে সচেতন নাগরিকদের বিশ্বাস। উল্লেখ্য শরীফ জামিল যখন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন করেছে তখন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনকেও এক ধরনের আওয়ামীকরণ করা হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করবেন তার শেষ যে বড় সমাবেশটি শহীদ মিনারে তার নেতৃত্বে হয়েছিল তখন সে সমাবেশের অন্যতম অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এবং এছাড়াও আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে তৎকালীন সময় বাপাতে অনবোর্ড করা হয়েছিল অতিথি হিসেবে। সুতরাং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনকেও আওয়ামীকরণ করেছিল শরীফ জামিল ও সুলতানা কামাল দুইজনের যোগসূত্রে। তার পরবর্তীতে তারা যখন সেখানে টিকতে পারে নাই তখন নতুন করে তারা এই আওয়ামী লীগকে আবার পুনর্বাসন করার জন্য তারা এখন এই “ধরার” নাম দিয়ে এই শরীফ জামিল এবং তাদের আরেক সংগঠন আছে Blue প্লানেট ইনিশিয়েটিভ এবং ওয়াটার কিপারসের নাম দিয়ে তারা বাংলাদেশে এক ধরনের নতুন Hegemony এবং ইন্ডিয়ানদের ইন্ডিয়ান এজেন্টদেরকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের সাথে বাংলাদেশের বায়ু নিয়েও কাজ করে ঢাকার স্ট্যামফোর্ড এর শিক্ষক কামরুজ্জামান। তিনিও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এই প্রকল্পটির রাশিয়ান প্রকল্পের স্টাডিতেও সে কিন্তু এক সময় পার্টিসিপেট করেছিল এবং সরকার যখনই কোন ভাল কাজ করতে যায় তখন তারা কিন্তু কামরুজ্জামান গ্যাংসহ শরীফ জামিলরা মিলে একটি নতুন একটি চক্র তৈরি করেছে যার সাথে রানা দাশগুপ্ত জড়িত। যখন জুলাই অভ্যুত্থান হয় সে সময় হাসিনা সরকার তখন কারফিউ ঘোষণা করে এবং গণহারে মানুষকে মারছে তখন এই কারফিউর সময় তখন ঢাকার বায়ু নাকি অনেক ভালো সেই সাপোর্ট করে কামরুজ্জামানরা এবং সয়ং কামরুজ্জামান ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে একটি টকশোতে সে বলেছে ঢাকার বায়ুর মান ভালো। বায়ুর মান ভালো বলার কারণ হলো আওয়ামী সরকারের আমলে কামরুজ্জামান ও শরীফ জামিল মিলে “বায়ু দূষণ ও ধুলো দূষণ” নামে প্রকল্প হাতিয়ে নেয় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে।
এদিকে গত ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ (বুধবার) পান্থকুন্জ ও হাতিরঝিল ধ্বংস করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উন্নয়নের করাতে নিহত দুইহাজার গাছেদের প্রতিকী জানাজা দেওয়ার বিষয়টি দেখা যায়, এবং আমিরুল রাজিব তার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেন জানাজা প্রতীকীর ছবি।বিষয়টি খতিয়ে দেখলে দেখা যায় আমিরুল রাজিব হচ্ছে “ধরা” সংগঠনের সম্প্রিক্ত সক্রিয় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। প্রশ্ন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তো আওয়ামী সরকারের প্রকল্প ছিলো তখন সেটি আওয়ামী লীগের আমলে কেন এধরণের প্রতিবাদ করা হয়নি। তাহলে বুঝা যাচ্ছে সুলতানা কামাল ও শরীফ জামিল তৎকালীন ফ্যাসিবাদ সরকারের কাছ থেকে সুবিধাভোগী ছিলেন তাই তাদের কন্ঠস্বর কচ্ছপের মতো ছিলো। গাছের জানাজা নিয়ে বেশ কিছু মাওলানাদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন ইসলামে মৃত মানুষের জানাজা হওয়া হলো মাইয়াত যা ফরজ কেপায়া এটা করতে হবে, মৃত ব্যক্তির জন্য গায়েবি জানাজা পরা যায়, অন্য কিছু নিয়ে জানাজা পরা যায় না, কেউ যদি এটা করে তা পৌত্তলিকতা যা ইসলামে বেধাতি,পরিবেশের নামে যা করা হচ্ছে ওদের অন্য মতলব ররেছে এরা ইসলামের শত্রু এরা কারো ইশারায় ইসলাম কে হেয় করতে নেমেছে, এদের কে এখনি প্রতিহত করতে হবে, গ্রেফতার করতে হবে। এরা কাদের হয়ে নেমেছে তা তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।


“ধরা” সংগঠনের বিষয় স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন এরা কারা। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায় “ধরা” সংগঠনটি হচ্ছে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে কাজ করছে ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ধর্মকে কুলশিত করা একটা পায়তারা চালাচ্ছে। মেজরিটি পার্সন সদস্যকে অন্ধকারে রেখে গুটি কয়েক সদস্যদের যোগসাজশে ইসলাম বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড করা ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশকে উত্তপ্ত করাই হচ্ছে তাদের কাজ। ধরা সংগঠনের স্বঘোষিত সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব নিজেই একটা এডিক্টর এবং নিম্ন সদস্য যাদের দিয়ে কাজ করা হয় তারা বেশিরভাগই মাদকাসক্ত বলে জানা যায়। যাই হোক উপরস্থ বিষয় গুলো আমাদের দেশের আপামর জনতা যেনে রাখা প্রয়োজন এবং মানুষদেরকে যেখানে গুলি করে মারা হচ্ছে তখন ফ্যাসিবাদের পক্ষে এ ধরনের প্রকাশ্যে অবস্থান যারা নিয়েছে তারা এখন আবার পরিবেশবাদীতার নাম দিয়ে নতুন করে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অস্তিত্বকে যদি আমরা রক্ষা করতে চাই ভারতীয়দের হাত থেকে তাহলে এই ভারতীয় এজেন্টদেরকে নতুন করে চিনে রাখাটা আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।