মুরাদনগরে আত্মহত্যার প্ররোচনায় প্রেমিকার বিরুদ্ধে মামলা

স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রীর আহাজারি সন্তান মাকে দিচ্ছেন সান্তনা

মো.আনোয়ার হোসাইন, কুমিল্লা:
কুমিল্লার মুরাদনগরে  আত্মহত্যার পরোচনায় দায়ে প্রেমিকার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী।  নিহত প্রেমিক নয়ন মিয়া (৩৫) বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকী ইউনিয়নের সোনারামপুর গ্রামের কবির মিয়ার পুত্র। বৃহষ্পতিবার (২৩ জানুয়ারি)  রাত ১১ টায় নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের দক্ষিণ ত্রিশ প্রেমিকার বসত বাড়িতে তিনি বিষপান করেন। উদ্ধার করে দেবিদ্বার হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মৃত্যুবরণ করে।
এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৩২) বাদী হয়ে  আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে প্রেমিকা সোনিয়া (৩৫) ও তার স্বামী মো. মুছার  বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর প্রেমিকা সোনিয়া ও তার স্বামী মুছা (৪০) পলাতক।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নয়ন মিয়া ওমানে  সোনিয়ার স্বামী  মুছার সাথে একই রুমে থাকতেন। সেই সূত্র ধরে মুছার স্ত্রী সোনিয়ার সাথে নয়নের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে।  দীর্ঘ ৭ বছর নয়ন ওমানে থাকাকালীন পরিবারের সাথে তেমন যোগাযোগ রাখেন নাই। ভরনপোষনও দেননি। প্রেমিকা সোনিয়ার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত।  একপার্যায়ে পরিবারকে না জানিয়ে সে দেশে চলে আসেন । গোপনে সোনিয়ার সাথে সংসার করেন। বিষটি জানার পর নয়ন মিয়াকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য তার পরিবার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু নয়ন বাড়িতে যায়নি। হঠাৎ  সোনিয়ার স্বামী মোঃ  মুছা বিদেশ থেকে দেশে চলে আসেন। তখন সোনিয়া আগের স্বামীর কাছে চলে যায়। সোনিয়াকে ফিরিয়ে আনতে নয়ন তাদের বাড়িতে যায়। সেখানে সোনিয়া ও তার স্বামী মুছা-  নয়নকে  অপমান করে বলেন,  “ তুই মরতে পারছ না ”। অপমান সইতে না পেরে নয়ন বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন।
লাশ নিহতের বাড়ি বাঙ্গরা বাজার থানার সোনারামপুর নিয়ে গেলে  সেখানে বাঙ্গরা   বাজার থানা পুলিশ সুরাত হাল প্রতিবেদন করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মর্গে) প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, আত্মহত্যার  প্ররোচনা দায়ে (৩০৬) ধারা মোতাবেক পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামীরা পলাতক। তাদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত।