মু. আজিজ, ভূজপুর :
পহেলা ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যা ৬ টায় – ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার অন্তর্গত দাঁতমারা ইউনিয়নে’র ৪ নং ওয়ার্ড বড় বেতুয়া নতুন পাড়া সেলিমের দোকান এলাকায় ঘটনা ঘটে।
জানা যায় নিহত মু. শহীদ (৩৩) পিতা মু. মুফিজ মিয়া, বিশ্নপুর গ্রাম, কুমিল্লা। শ্বশুর বাড়ি মানিকছড়ি। তার ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, বর্তমানে তার স্ত্রী লিজা আক্তার ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ।
শহীদ পেশাগত ভাবে একজন দিন মুজুরির কাজ করতেন। তার এক কন্যা সন্তান ও স্ত্রী কে নিয়ে ভূজপুর দাঁত মারা ইউনিয়নে’র শান্তিরহাট ও বড় বেতুয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসতেছে।
নিহত শহীদের স্ত্রী লিজা জানান, অত্র এলাকার আমান নামের একজন যুবকের সাথে আমার স্বামীর বন্ধুত্ব সম্পর্ক , সে যুবক রাজনীতি করে ।
আমান যেখানে যেতেন আমার স্বামী কে সাথে করে নিয়ে যেতেন। ধারণা করা যায় যে আমান রাজনীতি বিষয়ে মামলায় জড়িত ছিলো।লিজা বলেন আমানের সাথে অত্র এলাকাতে অনেকের সাথে ঝগড়া বিবাদ চলছে , আমান বর্তমানে জেল খানায় রয়েছে।আমান এর সাথে ঝগড়া বিবাদে যারা জড়িত ছিল তারাই আজ আমার স্বামী কে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে।আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই।
এবিষয়ে নিহত শহীদের সৎ ভাই রাসেল বলেন আমার ভাইকে যখন ২০ /২৫ জনে মিলে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে আঘাত করছিলো সেলিম এর দোকানের সামনে, তখন আমি সেলিম এর দোকান থেকে একটু দূরে ছিলাম, সেখান থেকে আমি সাথে সাথে দৌড়ে গিয়ে দেখি ছাবা রফিক ছায়েদ রুবেল সোহেল আরও অনেকে আমার ভাইকে, দা, ছুরি, মটর সাইকেলের, এস এস লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাচ্ছে। সাথে সাথে আমি শোর’চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে খুনিরা সবাই পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আমার মা কে ও ছুরির আঘাত করে, আমার মা বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে আমরা শহীদ ভাইকে নাজির হাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এই বিষয়ে ভুজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল হক সাহেব জানান, এ হত্যাকান্ডের সাথে জাড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে যাবেনা, অতি দ্রুত খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন যেহেতু নিহতে’র লাশ ফটিকছড়ি’তে ময়নাতদন্তের জন্য ফটিকছড়ি থানার মাধ্যমে চ মে ক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে, আমরা সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি।