বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জনবসতিপূর্ণ এলাকা পশ্চিম বাকলিয়া ১৭ নং ওয়ার্ডের রসুলবাগ আবাসিক খালপাড় এলাকার বায়তুল মামুর জামে মসজিদের পাশের চারতলা ভবনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ১১০০০ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারের শর্ট সার্কিটের আগুনে ঝলসে গিয়ে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হসপিটালে আইসিওতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ৬ বছরের নিষ্পাপ শিশু জাবির হাসান আব্দুল্লাহ।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও আহত শিশু আবদুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার ২৯ শে মার্চ বিকেলবেলা রসুলবাগ আবাসিক এলাকা খালপাড়স্থত বাইতুল মামুর জামে মসজিদে আসরের নামাজ চলাকালীন সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ হয়। নামাজ শেষে এলাকাবাসী মসজিদের বাহিরে এসে দেখে মসজিদের পার্শ্ববর্তী চারতলা ভবনের ব্যবসায়ী হাসানুল হক বান্নার চতুর্থ তলার রুম থেকে ধোঁয়া নির্গিত হচ্ছে, তাৎক্ষণিক লোকজন উপরে গিয়ে দেখেন শিশু আবির হাসান আব্দুল্লাহ শরীরের বাম সাইডে ঝলশে গিয়ে মাটিতে পড়ে আছে এবং বাসার বৈদ্যুতিক মিটার, সুইচবোর্ড, ফ্যান, কম্পিউটার ডেস্কটপ, আগুনে ঝলসে গেছে।গ্যাস লাইনে আগুন জ্বলছে। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা আহত শিশুকে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হসপিটালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিওতে এডমিড করে দেন।
এই বিষয়ে আহত শিশুর চাচা মাহমুদ ও রসুলবাগ আবাসিক এলাকা সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব এ এস এম এয়াকুবের সাথে কথা বলে জানা যায়, একটি ঘুড়ি এসে চারতলা ভবনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে আটকে থাকতে দেখে বাচ্চাটি ব্যালকনি থেকে ২ হাত দুরত্বের তার থেকে লাঠি দিয়ে ঘুড়িটি ছাড়ানোর চেষ্টা করে ঐ সময় লাঠিটি বেলকনির সাথে সর্ট খেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ব্যালকনির এক কর্নার ভেঙ্গে যাই সেই সাথে উক্ত ভবনের সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আগুনে ঝলসে যায়।
রসুলবাগ সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি জানান আবাসিক এলাকার পাশ দিয়ে ৩৩০০০/১১০০০ ভোল্টেজের ঝুঁকিপূর্ণ লাইন প্রবাহিত করার বিষয়টি এলাকার ফ্ল্যাট মালিকদের নিয়ে বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ বিভাগকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল কিন্তু আশানুরূপ কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আগেও গত বছরের রমজান মাসে পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন ভবনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে এক নির্মান শ্রমিক মারা যায়, গত মাসে রসুলবাগ আবাসিক সি ব্লকে একইভাবে অপর এক ব্যক্তি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট আহত হয়। এই বিষয় বিদ্যুৎ বিভাগকে জানানো সত্ত্বেও বাসা বাড়ির পাশ থেকে হাইভোল্টেজ তার সরানো,কভার দেয়ার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে পশ্চিম বাকলিয়া বিদ্যুৎ বিভাগের অ্যাক্সিয়েন রিয়াজুল ইসলামের সাথে মোটো ফোনে কথা বললে তিনি জানান ৩৩০০০ ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইনের বাংলাদেশে কোথাও কভার দেওয়ার সিষ্টেম নেই তবে এলাকার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে স্থানীয় বাসা বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ১১০০০ ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক তারের উপর কভার বসানোর বিষয়টি তদন্ত ও যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত শিশুর পরিবার শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত থাকায় এই বিষয়ে থানায় অভিযোগের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ এর ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে এলাকার জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
Discussion about this post