বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার Shiruzimath Sameer আজ সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি’র সঙ্গে তাঁর সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদারকরণসহ জাদুঘর ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৩ সালের ২৮ মে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে ২০২২-২০২৫ মেয়াদে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি চলমান রয়েছে যেটি ২০২১ সালে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশে সফরকালীন সময়ে স্বাক্ষরিত হয়।
মালদ্বীপের হাইকমিশনার দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদারকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের একটি পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক দল মালদ্বীপে প্রেরণের আমন্ত্রণ জানান। হাইকমিশনার Shiruzimath Sameer বলেন, মালদ্বীপ ১১০০টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি ছোট দেশ যেখানে ১ লক্ষ ৫০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটন, মৎস্যসহ বিভিন্ন খাতে কাজ করছে। তিনি বলেন, জাদুঘর ব্যবস্থাপনাসহ প্রত্ননিদর্শন সংরক্ষণে বাংলাদেশের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। মালদ্বীপ জাদুঘর ব্যবস্থাপনা ও প্রত্ননিদর্শন সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। হাইকমিশনার এ বিষয়ে মালদ্বীপ থেকে একটি প্রতিনিধিদল প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে প্রেরণের প্রস্তাব করেন। তাছাড়া তিনি দু’দেশের ঐতিব্যবাহী নৌকা বিষয়ে পারস্পরিক প্রদর্শনী আয়োজনেরও প্রস্তাব করেন।
হাইকমিশনারের সঙ্গে একমত পোষণ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, দু’দেশের মধ্যে জাদুঘর বিষয়ে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। তিনি এসময় মালদ্বীপের একটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে প্রেরণের জন্য হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানান।
সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন, যুগ্মসচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম, উপসচিব মোহাম্মদ খালেদ হোসেন ও মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন এবং ঢাকাস্থ মালদ্বীপ হাইকমিশনের তৃতীয় সচিব মরিয়ম নাসির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post