রেজি তথ্য

আজ: মঙ্গলবার, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আসছে নানা আয়োজনে পাহাড়ের বৈসাবি উৎসব

রাজস্হলী প্রতিনিধি :

শস্য শ্যামলা সবুজ পাহাড় ও পর্বত ঘেরা নদী নালা ঝিড়ি ঝর্ণা সৌন্দর্য অপরুপ এ পার্বত্য অঞ্চল। এ পার্বত্য এলাকা এগার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায় চাকমা মারমা, ত্রিপুরা, তংচনঙ্গ্যা, বম,পাাংখোয়া,খিয়াং, চাক,লুসাই,ম্রো, মুরুং এদের কে আদিকাল হতে পার্বত্য অঞ্চলে বাস করছে।এদের আলাদা যার যার ধর্ম সংস্কৃতি প্রথা প্রচলিত নিয়মে প্রতিবছর বিভিন্ন উৎসব পালন করতে দেখা যায়। এগার জাতি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের তিন ধর্ম বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু ধর্মের পালন করছে। যার যার নিজের মাতৃভাষা রয়েছে। সবাই স্বাধীন ভাবে বিভিন্ন উৎসব পালন করতে পছন্দ করছে। উল্লেখ্য, বৈসাবি অর্থ কি? ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, সা -মানে সাংগ্রাইং মারমা ভাষা, বিঝু অর্থ- চাকমা ভাষায়। প্রতি বছর বাংলা নবর্বষকে বরন বিদায় জানাতে, চাকমা,মারমা,ত্রিপুরা নদী খালে ফুল ভাসিয়ে ও মোমবাতি প্রদীপ জ্বালিয়ে পুরাতন বছর বিদায় নতুন বছর কে বরণ করেন। এর পর মারমা সম্প্রদায়দের ঐতিহ্য সাংগ্রাইং বা জল কেলি পানি খেলা যুবক যুবতীরা প্রতি বছর নানান ধরনে আয়োজনে মধ্যে এই উৎসব পালন করতে দেখা যায়। এই জল কেলি খেলা মানে বিগত বছরে সুখ দুঃখ বেদনা রাগ অনুরাগ ভুলে গিয়ে সকলে এক সাথে প্রেম ও ভালোবাসা শান্তি শৃঙ্খলা সুন্দর পরিবেশে নতুন বছরে এক সাথে মিলিত থাকতে পারি। এটা মারমা সম্পদায়ের এক সাংগ্রাইং জল কেলি খেলা প্রধান হিসেবে পরিচিত। সাংগ্রাইং উৎসব পালনে প্রস্তুতি প্রায় শেষ।আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু তিন দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা করে থাকে। বাংলা নতুনবর্ষ বা সাংগ্রাইং দিনে প্রতিটি পরিবারে ছেলে মেয়েদের নতুন পোষাক ড্রেস পরিধান করে থাকে। ঐ দিনে মারমা যুবক যুবতীরা বিহারে গিয়ে বুদ্ধ কাছে ফুল পূজা ও প্রদীপ পূজা সহ প্রার্থণা করে থাকে। বিহারে গুরুজন সন্ন্যসী দায়ক দায়িকা এবং ভান্তে ভিক্ষু, শ্রমণদেরকে গোসল বা স্নান করে থাকে। তার পর প্রতিটি পাড়াতে গিয়ে বয়স্ক পুরুষ মহিলা মা-বাবাদেরকে দলে দলে গিয়ে যুবক যুবতীরা স্নান করতে দেখা যায়। বিকালে ছোট বড় ছেলে মেয়ে শিশুরা বিহারে সমাবেত হয়। গৌতম বুদ্বকে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থণা করছে, বড় ভান্তে সকলে উদেশ্য ধর্ম দেশণা করবে। স ন্ধ্য্যয় বেলায় ফানুস উড়াবে। মারমা সম্প্রদায় বৌদ্ধ ধর্মের অনুযায়ী ফুল পূজা, বুদ্ধ পূঁজা,প্রদীপ পূঁজা মধ্যে দিয়ে সাংগ্রাইং উৎসবটি শেষ করা হবে। রাজস্থলীতে ৩নং বাঃ হাঃ সাংগ্রাইং উৎসব কমিটি সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা গণমাধ্যম কে জানান আগামী ১৩ এপ্রিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুন্দর শৃঙ্খলা পরিবেশ বজায় রেখে বাংলা নতুন বর্ষ ও সাংগ্রাইং উৎসব পালন করতে সকলে কাছে সার্বিক সহযোগিতার কামনা করেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on pinterest
Pinterest
Share on reddit
Reddit

Discussion about this post

এই সম্পর্কীত আরও সংবাদ পড়ুন

আজকের সর্বশেষ

ফেসবুকে আমরা

সংবাদ আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০