বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জমকালো আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে, ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বাংলা নতুন বছরের ১৪২৯ আনন্দ উৎসব চলছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে সব মানুষ সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে সমগ্র জাতি একই হৃদয়াবেগে একি মোহনায় মিলিত হয়ে পালন করে এই সর্বজনীন উৎসব।
পাহাড়ের এই উৎসবের আয়োজন করা হয় আরো বর্নিল সাজে ,চাকমা,মারমা,ত্রিপুরা,তংচঙ্গ্যাঁ সহ পাহাড়ে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর প্রানের উৎসব এই বাংলা নববর্ষ।পার্বত্য জেলায় এই উৎসবের শুরু হয় ফুল বিজু মধ্য দিয়ে।চাকমা,মারমা, তংচঙ্গ্যাঁ নারীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে রঙ্গিন সাজে নদীর জলে ফুল ভাসিয়ে দুঃখ ও গ্লানি দুর করে নতুন বছরকে জানায়।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে হতে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। হাজারো রংঙ্গের আলপনা,আর বাংঙ্গালীর ঐতিহ্য পোশাক পানজাবি,শাড়ি আর পাহাড়ি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষেরঐতিহ্যবাহী পোশাকে হাজারো মানুষের অংশগ্রহনে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে ঐতিহাসিক রাজার মাট এলাকায় এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং,জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজী,জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী এ.টি.এম কাউছার,জেলা পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার,জেলা সিভিল সার্জন নিহার রঞ্জন নন্দি,জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাশ,মোজাম্মেল হক বাহাদুর সহ পার্বত্য জেলা পরিষদ,জেলা প্রশাসক,বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ,সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি গন ও বাংঙ্গালী,পাহাড়ি বিভিন্ন সম্প্রদায় জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রা শেষে রাজার মাঠে নববর্ষ উৎযাপন আনন্দ মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বলেন বান্দরবান একটি সম্প্রতির জেলা,আমরা আজ সকলে মিলে বাংলা নববর্ষের আনন্দ উৎযাপন করছি,সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে সম্প্রিতির বন্ধনে জড়িয়ে থাকুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজী বলেন বাংলা নববর্ষ জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশে নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা।তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি তে তো সুন্দর আয়োজনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরে অনুষ্ঠানে আনন্দ শোভাযাত্রায় সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শনের জন্য উপজাতি সাংস্কৃতিক ইনিস্টিউট,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ও বান্দরবান টাউন প্রাইমারি স্কুলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।এছাড়াও বিভিন্ন উপজাতি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে রাজার মাঠে নববর্ষ আনন্দ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।পার্বত্য মন্ত্রী ও আগত অতিথি,দর্শনার্থী বৃন্দ সকলেই বাংলা নববর্ষ উৎযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
Discussion about this post