এবারের ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী চাপ ও সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে দুর্ঘটনার আশংকা বেশি। গণপরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এক নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই আশঙ্কার কথা বলেছেন।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে এবারের ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে এক কোটির বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এছাড়া এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরো প্রায় ৫ কোটি মানুষ যাতায়াত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব কারণে রাজধানীবাসী যানজটের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পরবে। সড়ক-মহাসড়কের অব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন কাজ চলমান থাকার কারণে আগামী ২৫ রমজান থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত সড়কগুলোতে যানজট পরিস্থিতির অবনতির কারণে অচল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে ঈদযাত্রায় অসহনীয় যানজট, যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অন্যান্য বারের চেয়ে বাড়বে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরো বলেন, ২০২১ সালে করোনাকালে ঈদুল ফিতরে ৩১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত ও ৬২২ জন আহত হয়েছে। এবার অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ দ্বিগুণ থাকায় সড়ক কোন দুর্ঘটনার সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের অধ্যাপক এম বদিউজ্জামান বলেন, ঈদ সামনে রেখে শেষ চার দিনে কমপক্ষে ৩০ লাখ মানুষ প্রতিদিন ঢাকা ছাড়বে। কিন্তু প্রতিদিন ১৪ লাখ মানুষকে পরিবহন ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব। বাকি ১৬ লাখ মানুষ পরিবহন যানবাহনের অপর্যাপ্ততার কারণে বিভিন্ন উপায়ে ছোট ছোট যানবাহনে ঢাকা ছাড়ার চেষ্টা করবে। এতেই সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে সুষ্ঠুভাবে যাতায়াতের জন্য আট দিনের ছুটির মধ্যেই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা এবার বেশি বলেই মনে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সড়কের ব্যবস্থাপনা সক্ষমতার বাইরে চলে গেলি সড়কে বিপদ ঘটবে এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়বে।
Discussion about this post