কক্সবাজারে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে। এ জন্য প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (পিডিপিপি) প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে। এটি অনুমোদন হলে পূর্ণাঙ্গ ডিপিপি তৈরি করা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য ট্যুরিস্ট ট্রেন ৫৪টি মিটারগেজ (এমজি) যাত্রীবাহী গাড়ি সংগ্রহ পিডিপিপি নেওয়া হয়েছে।এই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯১ কোটি টাকা। ট্যুরিস্ট ট্রেন পরিচালনার জন্য ২০১৯ সালে উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্পের পিডিপিপি রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। ৫৪টি কোচের মধ্যে রয়েছে ৬টি ট্যুরিস্ট কার, ১৩টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার কার, ১১টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিমিয়ার চেয়ারকোচ, ১১টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত চেয়ারকোচ, ৭টি পাওয়ার কার এবং ৬টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ডাইনিং কার। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, রেলওয়ে পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য ট্যুরিস্ট ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যে ৫৪টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী গাড়ি সংগ্রহে পিডিপিপি প্রণয়ন করেছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন এ জন্য প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে।দোহাজারী–কক্সবাজার ডুয়েল গেজ রেললাইন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি এখন ৭০ শতাংশ। তবে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম ষোলোশহর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন বিদ্যমান। এই মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরের লক্ষ্যে ডিপিপি প্রণয়ন অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন।দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই রুটে ব্রডগেজ যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। এদিকে সরকারি তহবিলের পাশাপাশি বিদেশি অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে। প্রকল্পের আওতায় ১২৮ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার ও রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে।
Discussion about this post