২০ এপ্রিল স্পিডবোট দুর্ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার সন্দ্বীপের তরুণ ছাত্র সমাজ। নৌ দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা ও নিরাপদ নৌ রুটের দাবিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসাবে শনিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসার কার্যালয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা, সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম।
আন্দোলনকারীরা এসময় গুপ্তছড়া ঘাটে স্পিডবোট ডুবির বিষয়ে তদন্ত করার দাবিতে ইউএনও বরাবর একটা আবেদন পত্র প্রদান করেন। এছাড়া আন্দোলনকারীরা ইউএনওর মাধ্যমে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে ১২ টি প্রশ্নের উত্থাপন করেন। এসিল্যান্ড মো. মঈন উদ্দীনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসন।
প্রশ্নগুলোর অন্যতম হলো স্পিডবোটের রেজিস্ট্রেশন ছিল কিনা? রেজিস্ট্রেশন থাকলে সেটার সার্ভে মেয়াদ ছিল কিনা? রেজিস্ট্রেশন ও সার্ভের মেয়াদ থাকলেও স্পিডবোটের গায়ে(সামানে দুই পাশে) নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর কেন ছিল না? পর্যাপ্ত জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম ছিল কিনা? সার্ভে সনদে উল্লেখিত যাত্রীর অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছিল কিনা? বে ক্রসিং পারমিশন ছিল কিনা? চালকের সনদ ছিল কিনা?
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন আবেদন পত্রের উল্লেখিত প্রশ্নগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিবেন।
Discussion about this post