ঢাকার পুরানা পল্টনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোঃ মামুন মাহমুদকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে কস্তুরি হোটেল গলিতে এই ঘটনা ঘটে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই হামলার সময়ে জুয়েল মিয়া নামে একজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামুন রাজনীতির পাশাপাশি সোনারগাঁওয়ের একটি কলেজে শিক্ষকতা করেন। যদি সাত বছর ধরে সেখান থেকে সাময়িক বহিস্কার অবস্থায় রয়েছেন।
বিএনপির ওই নেতার ব্যক্তিগত সহকারি মোঃ মহসিন জানান, গতকাল স্যার পল্টনে একটি অফিসে জেলার নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে নেতাদের বিদায় দিয়ে তারা দুইজন গড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময়ে আকস্মিকভাবে কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্যারের উপর হামলা চালায়। তিনি চিৎকার দিলে হামলাকারিরা পালিয়ে যাওয়ার সময়ে একজনকে স্থানীয়রা ধরে ফেলে।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীদের তাদের কাছ থেকে কিছু নেয়নি। কারা হামলাটা হয়েছে। তবে কারা, কেনো এই হামলা চালিয়েছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। হামলাকারিরা ছিনতাইকারী কি-না, তাও জানেন না।
পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া জানান, রাজনৈতিক কারণে এই হামলা হতে পারে বেল মনে হচ্ছে। এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা নয়। তবে ওই নেতা ও আটক ব্যক্তি সুস্থ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন, মামুন মাহমুদের ডান পাজরসহ শরীরে ধারালো অস্ত্রের চারটি আঘাত রয়েছে। তা ছাড়া গণপিটুনির পর হাসপাতালে ভর্তি জুয়েল মিয়া। দুইজনেই শঙ্কামু্ক্ত।
Discussion about this post