ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের কারনে নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন,বিএনপির আন্দোলন দমাতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে।নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী-ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার ও নেতাকর্মীদের মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।মোশাররফ বলেন,আজকে মানবাধিকার লঙ্গণের জন্য বাংরাদেশের প্র তি সেংশন দেওয়া হয়। পুলিশ ও র্যাবের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সেংশন দেওয়া হয়। এটা লজ্জাজনক। আর্ন্তজাতিকভাবে আমরা বাংলাদেশকে ছোট করছি। এর জন্য কারা দায়ী। এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। আজকের সরকার।তিনি বলেন, আজকে আমরা যখন প্রতিবাদ করতে এসেছি তখন নিউমার্কেটের দোকানীরা প্রতিবরোধ শুরু করেছে। হেলমেট ধারীরা এ প্রতিরোধ দমন করার জন্য হত্যা করেছে। আমি অভিলম্ভবে তাদের গ্রেফতার এবং তাদের বিচার চাই। অবিলম্বে মকবুল হোসেনসহ আমাদের বিএনপি নেতাকর্মীদের যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তার প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত মকবুল হোসেনের মুক্তি চাই।খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশে এ অপশাসন, এ ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে এদশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য এ নিউমার্কেট দোকানীদের রক্ষা করার জন্য, সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমাদের একটায় পথ উন্মুত। সে পথ হচ্ছে দিনের ভোট রাতের অন্ধাকারে ডাকাতি করে সেই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা। আর এটাই স্থায়ী সমাধান। আজকে সারাদেশের কোটি কোটি মানুষ এ কথায় বলছে।
তিনি বেলন, গয়েশ’র বাবু একটি কথা বলেছেন শেখ হাসিনাকে বিদায় দিতে হবে। মেখ হাসিনার স্বৈরাচারি ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় দিতে হবে এ বিদায় দেওয়ার জন্য আজকে আমদের সকলকে রাস্তায় নামতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের অঙ্গসংগঠন এবং দেশের সকল গণতান্ত্রিক সকল দেশ প্রেমিক ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এ সরকারকে হটাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই।
তিনি বলেন, আজকে আমার খন্ড খন্ড প্রতিবাদ করতে পারি , কিন্তদু সমস্যার সমাধান হলো এ সরকারকে হটানো।
সমাবেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,হেলমেট বাহিনী, লুটপাট বাহিনী, আর চাঁদাবাজ বাহিনীকে হালাল করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে ।
তিনি বলেন, কার নামে মামলা খুঁজে দেখা যাবে মরা মানুষের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। পুলিশ কাকে মারে কাকে ধরে সে সকল ফুটেজ নাইবা খুজলাম, কিন্তু পুলিশের যারা মামলার আয়ু হন, অন্যায় ভাবে মামলা দেন; তাদের নাম কাটাবেন কি করে। বাংলাদেশি যত মামলা হয়েছে প্রত্যেকটা মামলার আয়ু আছে। তাদের বাড়ি ঘরের ঠিকানা, কিন্তু সকলেই জানে। শেখ হাসিনা চিরকাল নয়। আর কতকাল তা বলতে পারি না, তবে আর মাত্র স্বল্পকাল।
সরকারের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে বোকা বানিয়েছে। বিদেশীদেরকে অন্ধ বানানোর চেষ্টা করেছে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। আজকের দেশ বিদেশ সকলেই শেখ হাসিনার এই প্রতারণা বুঝতে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং আর নতুন প্রতারণা ধোঁকাবাজি কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, এই আন্দোলন আমাদের চলমান কখন বেগবান হবে তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা অনেক সময় পার করেছি দীর্ঘ ১৩/১৪ বছর। আর ১৪ মাস ও নয়।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবাদের স্থান জাতীয় প্রেসক্লাব কিন্তু আগামী দিন শুধু প্রেসক্লাব নয়, ঢাকার শহরে অন্তত শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সড়ক রয়েছে যেখানে আমাদের প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে। অলিগলি পাড়া-মহল্লায় সকল জায়গায় প্রতিবাদের ঝড় তুলতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, আমাদের লক্ষ্য অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আর এটা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সম্ভব নয়। এই পার্লামেন্ট বাতিল না করলে সম্ভব নয়। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। এটা বিজ্ঞানাগার থেকে শুরু করে সব কিছুতেই পরিচিত। সেই কারণে বিএনপি’র সিদ্ধান্ত এই সরকারের অধীনে কোন প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির, জয়নাল আবেদিন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী,মীর সরাফৎ আলী সপু, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post