চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের সময় বেড়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় সময় বাড়লো। একই সঙ্গে প্রকল্পের ব্যয় ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ এক হাজার ১৯৯ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে প্রকল্প চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
চট্টগ্রাম যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তিন বছরের মধ্যে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হওয়ার কথা ছিল।বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে, চার হাজার ৪৫০ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় দফায় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। একই সময়ে প্রকল্প ব্যয় এক হাজার ১৯৯ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নয় এলাকায় গাড়ি ওঠানামার জন্য ২৪টি র্যাম্প থাকবে। প্রতিটি র্যাম্প নির্মাণ হবে দুই লেনের। র্যাম্পগুলো একমুখী গাড়ি চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন,প্রকল্পের কাজ ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সড়কের নিচে থাকা ওয়াসার পাইপ লাইন কাজ করার সময় ফেটে যাচ্ছে। এগুলো সরানোর জন্য ওয়াসাকে অর্থ দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা সেগুলো সরাতে দেরি করছে। এখনও টাইগারপাস থেকে দেওয়ানহাট মোড় পর্যন্ত রেললাইনের ওপর কাজ করার অনুমতি দেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
টাইগারপাস থেকে দেওয়ানহাট মোড় পর্যন্ত নতুন করে ১২টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হচ্ছে। রেললাইনের ওপর পিলার বসানো ছাড়াই কাজ হবে।সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন,এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের আপত্তির কারণে নকশায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। এজন্য জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। কাজ বেড়েছে, সময় বাড়ছে। এসব কারণে এক হাজার ১৯৯ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং দুই বছর সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি আমরা। এখনও মন্ত্রণালয় অর্থ দেয়নি। তবে সময় বাড়িয়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এক বছর।
Discussion about this post