রেজি তথ্য

আজ: শুক্রবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জলাবদ্ধতা থেকে ঢাকাকে বাঁচাতে সব জলাশয় ও জলাধার ভরাট বন্ধ করতে হবে : আইপিডি

ঢাকা ব্যুরো:

রাজধানীর আশকোনায় ঢাকা মহানগরীর মহাপরিকল্পনা, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা, নগর উন্নয়ন আইন, জলাধার সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংক্রান্ত আইনকে অমান্য করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্তৃক জলাশয় ভরাটের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। আজ রবিবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান সংগঠনটির নেতারা।

বিবৃবিতে বলা হয়, জলাশয় ভরাটের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী মহল কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা প্রকল্পের নাম শোনা যায় প্রায়শঃই। কিন্তু সরকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই ধরনের জলাশয়-জলাধার ভরাটের অন্যায়, অন্যায্য ও অবৈধ উদ্যোগ যখন রাজধানী শহরে সব নগর কর্তৃপক্ষগুলোর উপস্থিতিতে দিবালোকেই হয়, তখন টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়তে আমরা কেন ব্যর্থ হচ্ছি, সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কেন আমরা কার্যকর সমাধান তৈরি করতে পারছি না, সেই বিষয়টি এই ধরনের অন্যায় উদ্যোগের ফলে স্পষ্ট হয়ে উঠে। ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে ও জলাশয়-জলাধার রক্ষায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না করতে পারলে ঢাকাকে কোনভাবেই বাঁচানো যাবে না বলে মনে করে আইপিডি।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতার শংকায় ঢাকার নগরবাসী এমনিতেই শংকিত আছে। ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নেয়া হলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কার্যকারিতা অনেকাংশে নির্ভর করে জলাশয়-জলাধারগুলোর পানি ধারন ক্ষমতার উপর। একটি নগর এলাকায় জলাশয় এলাকা ১২-১৫ ভাগ থাকা দরকার হলেও ঢাকার জলাশয়-জলাধার এলাকা কমছে আশংকাজনকভাবে। ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় চিহ্নিত জলাশয়-জলাধার নির্বিচার দখলের শিকার হচ্ছে। রাজধানীর অভ্যন্তরে এলাকার ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় চিহ্নিত আশকোনা এলাকার এই জলাশয় বিগত বেশ কিছুদিন যাবত নির্বিচারে ভরাট হলেও এই ভরাট বন্ধের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি, যা অত্যন্ত উদ্বেগের।
ইতিপূর্বে রাজধানীর কুড়িলে জলাধার ভরাট করে ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে যা পরবর্তীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের মেয়রের উদ্যোগে ও হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত করা হয়। এই ঘটনাগুলোতে প্রতীয়মান হয় যে, রাজধানীর জলাশয়-জলাধার রক্ষার ব্যাপারে সরকারের নির্দেশনাই সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যথাযথভাবে প্রতিপালন করছে না যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
রাজধানীর মহাপরিকল্পনার এলাকাভুক্ত অধীন যে কোন ধরনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উদ্যোগে ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার প্রতিপালন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভূমি ব্যবহার পরিবর্তনের জন্য টাউন ইমপ্রুভমেন্ট আইন’ ১৯৫৩ অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেবার যে বিধান আছে তা কেন বিভিন্ন সরকারী সংস্থা কর্তৃক বারবার লংঘিত হচ্ছে তার নির্মোহ বিশ্লেষণ করা দরকার সরকারের। একইসঙ্গে রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাসমূহ কেন এই ধরনের জলাশয়-জলাধার ভরাটের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছে না, সেই কারণগুলোও উদঘাটিত হওয়া দরকয়ার।
আরো বলা হয়, ঢাকাকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সব ধরনের জলাশয়-জলাধার ভরাটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া ও দোষীদের আইনের আওতায় নিতে জোর আহবান জানায় আইপিডি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on pinterest
Pinterest
Share on reddit
Reddit

Discussion about this post

এই সম্পর্কীত আরও সংবাদ পড়ুন

আজকের সর্বশেষ

ফেসবুকে আমরা

সংবাদ আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১