জাতীয় র্অথবছর ২০২২-২০২৩ এর অনুমোদিত বাজটকে গরিবের বাজেট বলে দাবি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটি গরিবের বাজেট, ব্যবসাবান্ধব ও গণমুখী বাজেট।
কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট বৃহস্পতিবার (৯জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে।জাতীয় সংসদ ভবনের বাইরে বাজেট অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের কাছে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বাজেটে নিশ্চয়তা আছে, সোশাল সেফটিনেট আগের চেয়েও সাত হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। গতবারের চেয়ে আরও ৭ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে, আওতা বাড়ানো হয়েছে। কাজেই এই বাজেট সবদিক বিবেচনা করে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের বিষয়কে নজর দেয়া হয়েছে। সেখানে সাত হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। কাজেই এটা গরিবের বাজেট, ব্যবসাবান্ধব বাজেট ও গণমুখী বাজেট।
অন্যদিকে এই বাজেট জনবান্ধব এবং উন্নয়নবান্ধব, বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।বাজেটকে কিভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ, জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে বলেন, করোনাভাইরাস অভিঘাত থেকে মুক্ত হয়ে উন্নয়নের ধারা অক্ষুন্ন রাখা ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য কৃষি, খাদ্য, নতুন কর্মসংস্থান সৃজন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ভর্তুকির চাপ সামাল দেয়াসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এই বাজেটে। বাজেটে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে। জনবান্ধব ও উন্নয়ন বান্ধব এই বাজেটকে আমরা স্বাগত জানাই।তিনি বলেন, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে উপকৃত হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো হয়েছে। কর্পোরেট কর কমানো হয়েছে যাতে দেশীয় শিল্প বিকশিত হতে পারে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমস্যার দিকে খেয়াল রেখে বিদেশ নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্যে করের হার বাড়ানো হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। শিক্ষা খাত বিশেষ করে মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরত্ব দেয়া হয়ছে। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতির সাথে খেয়াল রেখেই এই বাজেট খেটে খাওয়া মানুষের বাজেট, ব্যবসাবান্ধব ও গণমুখী বাজেট।ভবিষ্যতে আরও লুট করবে, তার একটা হিসাব হচ্ছে এই বাজেট-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাজেট নিয়ে এমন প্রতিক্রিয়ায় বিষয়ে জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলের রাজনীতি লুটপাটের রাজনীতি, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন এর রাজনীতি। তারা কখনোই সাধারণ মানুষের কথা ভাবেনি, এখনো ভাবেনা। জনমানুষের উন্নয়নের এই বাজেট তাই তাদের ভালো লাগছেনা।
Discussion about this post