চট্টগ্রাম চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীর লেপ-তোষক ব্যবসায়ী চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ জিহস ফকির পাড়ার আবু তাহের সওদাগরের পুত্র বাহাদুর মিয়া (সওঃ) ও তার ছোটভাই মঈন উদ্দীন হাসানকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও গ্রেফতার করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ( ১৪ জুন) সকাল ১০টায় দোহাজারী প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি পরিবারবর্গ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আবু তাহের, ফরিদা বেগম, শামীমা আক্তার, রমজান আলী, রেনু আক্তার, জেসমিন আক্তার, দিলুয়ারা বেগম, শিমু আক্তার, হোসনে আরা বেগম, পারভিন ও শাহিদা বেগম। লিখিত বক্তব্যে বাহাদুর মিয়ার পিতা আবু তাহের বলেন, আমরা বিগত ৪৫/৫০ বছর ধরে দোহাজারীতে সুনামের সাথে লেপ-তুষকের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় চন্দনাইশ পৌরসভার কুলাল পাড়া এলাকায় জাহেদ নামে এক ছেলেকে দূর্বত্তরা ছুরিকাঘাত করে। ওদিন রাতে জাহেদ চমেক হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বড় ছেলে বাহাদুর মিয়া ও ছোট ছেলে মঈন উদ্দীন হাসানকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিহিংসার পরায়ন হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয় এবং বাহাদুর মিয়াকে গ্রেফতার করেন। তার পিতার দাবী বাহাদুর মিয়া দঃ জোয়ারা জিহস ফকির পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ ৬নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি সহ সমাজ হৈতষি কাজ করায় ঈশান্বিত হয়ে কুচক্রিমহল লেপ-তোষক ব্যবসায়ী দুই পুত্রকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়। অথচ এ ঘটনার সময় বাহাদুর মিয়া ও তার ছোট ছেলে মঈন উদ্দীন হাসান দোহাজারীতে তাদের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিলেন। বিগত সময়ে তার ছেলেদের বিরুদ্ধে সমাজ ও সরকার বিরোধী কোন রকম মামলা- মোকর্দ্দমা নেই। জাহেদ হত্যার বিচার দাবী করে তিনি আরো বলেন, প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি তার বড় ছেলে বাহাদুরকে মুক্তিসহ তার দুই ছেলেকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী করছেন। এদিকে বাহাদুর মিয়ার স্ত্রী শামিমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী বাহাদুর মিয়াকে উদ্দোশ্য মূলক মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করায় আমার ৫ সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি আমার সন্তানদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই আমার স্বামীকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
Discussion about this post