জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এই পাজেট প্লাস্টিক বান্ধন, এই বাজেট অনৈতিক, এই বাজেটে পাচারকৃত টাকা ফেরৎ আনার সুযোগ দেয়া হয়েছে, যা একোরেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া, এই বাজেট তামাক কোম্পানী কোম্পানী বান্ধর বাজেট, এই বাজেট একটা বাস্তবতা ও প্রস্তবনার মধ্যে অসামজস্যপূর্ণ বাজেট, এই বাজেট বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করার বাজেট হলেন সমস্যা সমাধানের বাজেট নয়। এই বাজেট সমস্যা দেখানো হলেও তা সমাধানের কোনো পথ নেই। এই বাজেট গণমুখি নয়, এই বাজেটে জনগণের ওপর চাপ বাড়াবে, মধ্যবিত্তের জন্য চাপ বাড়াবে, দরিদ্রদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবে। এটাকে অন্তর্ভূক্তি মুলক বাজেট হওয়া উচিৎ ছিল নাগরিকদের আতœ সামাজিক সুরক্ষার বাজেট। মঙ্গলবার (১৪জুন) বাজেটের ওপর আলোচনায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।শামীম হায়দার সামজিক নিরাপত্তা খাতে ১৭ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি করেন তিনি। এই বাজেটে আয় কম ব্যয় বেশী, বিপুল ঘাটতির বাজেট। এডিবি হচ্ছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ হাজার কোটি টাকা, আর ঘাটতিও ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ হাজার কোটি টাকা। আমাদের এডিবিটা সম্পূর্ণ ঘাটতিতে চলে যাবে। এবার ব্যাংকগুলো থেকে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে, এতে ব্যাংকগুলো সমস্যায় পড়বে, তারল্য সঙ্কটে পড়বে, এসএমই গুলো ঋন পাবে না। তিনি কর সক্ষমতা বাড়ানোর দাবি জানান। টোবাকো ট্যাক্স বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এবারে নিম্ম দামের শলাকার জন্য ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। প্রায় সকলেই এখন নিম্ম দামের সিগারেট খাবে। আমাদের যে টার্গেট ছিল টোবাকো খাওয়া কমানো তার লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো না। টোবাকো কোম্পানীর আনডুয়িং প্রভাবে বিশে^র তৃতীয় স্থানে আমরা। ইউরোপীয়ান-আমেরিকান টোবাকে কোম্পানীতে সমস্ত বাঘা বাঘা মানুষ জড়িত। আমাদের টোবাকে নীতিমালা প্রণয়ণে বাধা সৃষ্টি করছে তারা। তিনি টোবাকো আইন তৈরির দাবি জানান।শামীম হায়দার বলেন, আমাদের দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি প্রতি উপজেলা থেকে অন্তত প্রতিবছর ৫ হাজার মানুষকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান। দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষনের দাবি জানান।তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিষয়ে ও ফরেন পলিসিতে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় আছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকান রাষ্ট্রদুতকে বলার জন্য আমাদের দেশের সাংবাদিকদের একটা প্রশ্নমালা তৈরি করে দিয়েছেন , এটি বিষ্ময়কর ও অসম্মানজনক। এসময় তিনি ফরেন পলিসির বিষয়ে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলেন।জাপার এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমরা কিছু অলিক টার্গেট করেছি, যে ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা হাই মিডিল ইনকামের দেশ হবো। অথচ ইন্দোনেমিয়া বলেছে ২০৩৫ সালে। আমরা হাই ইনকাম টার্গেট সেট করেছি ২০৪১। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া কিন্তু আমাদের চেয়ে আরো অন্তত ৫ বছর পরে টার্গেট সেট করেছে।তিনি বলেন, মামলা জট ছাড়ানোর জন্য জুডিশিয়ালী ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে, জাজ নিয়োগ করতে হবে। ডিজিটালাইজেশন করার আহ্বান জানিয়ে এ খাতে বাজেট বাড়ানোর দাবি জানান। ট্রান্সপারেন্সি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষ সুবিচার, গুড গর্ভনেন্স পেলে তাহলে দুর্নীতি কম হবে। তিনি ২০১১ সালের প্রস্তাবিত পার্লামেন্ট ইনসটিটিউট আইন করার দাবি জানান।
বিএনপি আমলে মানুষ পতীতলায়ে নাম লিখিয়েছিল- মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, জিয়াউর রহমানের আমলে খাদ্যের অভাবে মানুষ পতীতলায়ে নাম লিখিয়েছিল। তিনি বলেন, ১৯৭৯ সাল। জিয়াউর রহমানের আমলে মানুষ সন্তান বিক্রি করেছে। পতীতলায় নাম লিখিয়েছে খাদ্যের অভাবের কারণে। এমন কোন ঘটনা তো আওয়ামী লীগের আমলে দেখিনি। ব্রিটিশ আমলে যদি খাবারের অভাব থাকে এখন সেটা নাই কেন?
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা মহাকাশে স্যাটালাইট পাঠালাম, কর্ণফুলি টার্ণেল করলাম, বঙ্গবন্ধু সেতু করেছি এখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পদ্মা সেতু হচ্ছে। এরকম একটা দেখান। এসময় তিনি বিএনপি এমপিদের সমালোচনা করে বলেণ, তা তো ভালো কিছু দেখে না। তারা বলেছেন, পদ্মা সেতুর পিলার নাকি নড়বড়ে। তাহলে তারা যেন পদ্মা সেতুতে না চড়েন, সেতু যদি ভেঙে পড়ে যায়!
বাজেরে ওপর আরো বক্তব্য রাখেন, এমপি হাবিবে মিল্লাত, সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, রমেশ চন্দ্র সেন, আরমা দত্ত, ইকবাল হোসেন, মোজ্ফ্ফর হোসেন, অঅবদুস সোবহান মিয়া, অসূম কুমার উকিল, মো. সাইফুজ্জামান, শিবলী সাদিক, আনোয়ারুল আবেদীন খান, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আমিরুল আলম মিলন, রুবিনা আক্তার, রানা মোহম্মদ সোয়ের , বিএনপির সংসদ সদস্য মো. জাহিদুর রহমান।
Discussion about this post