রেজি তথ্য

আজ: বৃহস্পতিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সংসদে বিল উত্থাপণ পাকিস্তানের পক্ষ নেয়া এমএনএ, এমপিএদেরও তালিকা হবে

ঢাকা ব্যুরো:

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মুজাহিদ বাহিনী ও পিচ কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত এমএনএ (জাতীয় পরিষদের সদস্য) ও এমপিএদেরও (আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য) নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিলো এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলেঅ তাদের তালিকা তৈরির ক্ষমতা পাচ্ছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। সোমবার (২৭জুন) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিলে এ বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন পেশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সোমবার প্রতিবেদনটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান।এর আগে গত ৬ জুন ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল-২০২২’ সংসদে তুলেছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ ক্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মকা-ে লিপ্ত ছিলেন বা আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মকা-ে লিপ্ত ছিলেন বা আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন বা খুন, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের অপরাধমূলক ঘৃণ্য কার্যকলাপ দ্বারা নিরীহ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করেছিলেন অথবা একক বা যৌথ বা দলীয় সিদ্ধান্তক্রমে প্রত্যক্ষভাবে, সক্রিয়ভাবে বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন; তাহাদের তালিকা তৈরি ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা হবে।এ  বিলে ‘মুজাহিদ বাহিনী’ ও ‘পিস কমিটির’ সদস্যদের তালিকা তৈরির বিধান রাখা, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে যাঁরা এমএনএ ও এমপিএ নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ নেওয়ার কারণে শূন্য ঘোষিত আসনে উপনির্বাচনে পাকিস্তান সরকারের নির্বাচিত এমএনএ ও এমপিএদের তালিকা তৈরির বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান কমিটির প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন। সাধারণত বিল পরীক্ষা করে সংসদীয় কমিটি যে প্রতিবেদন দেয়, বিল পাসের সময় সেখানে বড় কোনো পরিবর্তন আনতে দেখা যায় না। কিন্তু এ বিলটিতে এ ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যায়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on pinterest
Pinterest
Share on reddit
Reddit

Discussion about this post

এই সম্পর্কীত আরও সংবাদ পড়ুন

আজকের সর্বশেষ

ফেসবুকে আমরা

সংবাদ আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১