চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৬ লাখ টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৪নং বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম.এ.মান্নান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশাল অংকের টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগটি করেছেন, একই ইউনিয়নের ৭ ৮ ও ৯ আসনের সংরক্ষিত বর্তমান মহিলা মেম্বার রওশন আক্তার মুন্নি। বিগত ৯ জুন ২০২২ তারিখে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে স্থানীয় জনগোষ্টীকে কাজে লাগানোর নিমিত্তে ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির অধীনে ২০২২ সালের প্রথম পর্যায়ে বটতলী ইউনিয়নের জন্য ১০৫ জন শ্রমিককে কাজে লাগানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। দৈনিক ৪০০টাকা মজুরি হিসেবে ৪০দিনে প্রতিজন শ্রমিকের মজুরী আসে ১৬ হাজার টাকা।সেই অনুপাতে ১০৫ জন শ্রমিকের সর্বমোট ১৬.৮০০০০(ষোল লক্ষ আশি হাজার) টাকা বরাদ্দ পায় বটতলী ইউনিয়ন পরিষদ। যা থেকে চেযারম্যানের পছন্দের দুই মেম্বারকে দিয়ে হযরত ভোলা শাহ্ রহমানিয়া এতিমখানার মাঠ ভরাট এবং গুচ্ছগ্রাম ইব্রাহিম শাহ্ মাজার সড়কে মাটি ভরাটের নামে দুইটি প্রকল্পে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা খরচ করা হয়। বাকি ১৬ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে বটতলী ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক আত্মসাতের লিখিত অভিযোগে অভিযোগকারী মুন্নি বলেন, ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চাপাতলী হযরত ভোলা শাহ্ রহমানিয়া এতিম খানার ১৫০ বর্গফুটের ছোট্ট মাঠটিতে ২ ফুট উচু করে মাটি ভরাটের জন্য ৫০ জন শ্রমিক ৪০দিন কাজ করেছে বলে দেখানো হয়। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট । বাস্তবে ওই মাট ভরাটে ৩দিন কাজ করেছেন মাত্র ৫ জন শ্রমিক। ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রাম ইব্রাহিম শাহ্ মাজার সড়কটির দৈর্ঘ্য ৪০০ ফুট, ১০ ফুট প্রস্তের এ প্রকল্পে দেড় ফুট উচু করে মাটি ভরাটের জন্য ৫৫ জন শ্রমিক দিয়ে ৪০দিনের কাজ দেখানো হলেও বাস্তবে এখানে মাত্র ১০জন শ্রমিক দিয়ে ৫দিন কাজ করানো হয়েছে। ইউপি সদস্য রওশন আক্তার মুন্নির লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১০৫ জন শ্রমিকের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এসব ভুয়া শ্রমিক, জালিয়াতির মাধ্যমে আইডি কার্ডের কপি ও ছবি ব্যবহার করে এসব একাউন্ট খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪ নং বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের অধ্যাপক চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরী বলেন, অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমদ স্যারের সাথে কথা বলবো। এ প্রসঙ্গে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমদ বলেন, অভিযোগটি গত বুধবার আমার হস্তগত হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য ১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হবে । তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা।
Discussion about this post