প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের বিকাশ এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির প্রসারের লক্ষ্যে দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসভিত্তিক ব্যবসায়িক ইনকিউবেটর ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ উদ্বোধন করেছেন।দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসভিত্তিক ব্যাবসায়িক ইনকিউবেটর ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (৬ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্থাপিত এ ইনকিউবেটরের উদ্বোধন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল।শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর ছাড়াও শেখ জামাল ডরমিটরি ও রোজী জামাল ডরমিটরির শুভ উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি মন্ত্রণালয় প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন বিশ্বজুড়েই প্রযুক্তিজগতের অন্যতম আলোচিত বিষয়। তা নিয়ে এ দেশের তরুণদেরও ব্যাপক আগ্রহ তাই প্রত্যাশিত বিষয়। এরই সাক্ষাৎ প্রমাণ মিলল দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’। দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের এক বড় মাইলফলক হতে যাচ্ছে এই আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের প্রতিষ্ঠা। তথ্য-প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইনকিউবেটরটি নিয়ে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আগ্রহ এতটাই বেশি ছিল যে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। এরই মধ্যে এখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দেড় শ তরুণ। অপেক্ষায় আছেন অন্তত ৫০০ জন। আছেন বিভিন্ন তরুণ উদ্যোক্তাও। এই বিজনেস ইনকিউবেটরে রয়েছে সমৃদ্ধ আধুনিক ল্যাবরেটরি।প্রকল্প পরিচালক ও চুয়েট অধ্যাপক এম মশিউল হক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটছে মূলত ইন্টারনেটের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযোগের মাধ্যমে। এই বিপ্লবের যুগে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে অবস্থান করে যে কেউ সৃষ্টিশীল-ব্যতিক্রমী কোনো আইডিয়া স্টার্টআপের মাধ্যমে গোটা দুনিয়াকে জানান দিতে পারেন। সঙ্গে রয়েছে মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলারের হাতছানি। সৃষ্টিশীল তরুণরা হয়ে উঠতে পারেন একেকজন সফল উদ্যোক্তাও। আমরা আমাদের তরুণদের সে সুযোগ করে দিতে যাচ্ছি। বুধবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্থাপিত এ ইনকিউবেটরের উদ্বোধন করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে; তার প্রভাবে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, সারের দাম বেড়ে যাচ্ছে, খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে। সে প্রভাব সারাবিশ্বের উপর পড়েছে, বাংলাদেশের উপরও পড়েছে। সেগুলো মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। করোনা ও যুদ্ধ না হলে আমরা হয়ত আরো এগিয়ে যেতে পারতাম বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি মন্ত্রণালয় প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার চুয়েট প্রান্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চুয়েট ভিসি ড. রফিকুল আলম, চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Discussion about this post