চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে রঙের তুলি দিয়ে রঙিন করছেন জার্মানী শিল্পী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রধান বাহন শাটল ট্রেন। ট্রেনের প্রতিটি বগির বাইরে ফুটে উঠছে নানান দর্শনীয় স্থানের দৃশ্য। যার মধ্যে আছে- চট্টগ্রাম রেল স্টেশন, সিআরবি, সংসদ ভবন, সমুদ্র, সূর্যাস্তের দৃশ্যসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য।গত (২২ জুলাই) থেকে শাটল ট্রেনে এ শিল্পকর্মের কাজ শুরু করেন জার্মানির আরইউএসবি আর্ট গ্রুপের প্রধান শিল্পী লুকাস জিলিঞ্জার। তাকে সহযোগিতা করছেন স্ত্রী লিভিযা জিলিঞ্জার। তিনিও চিত্রশিল্পী। চট্টগ্রাম নগরের পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে শাটল ট্রেনের বগিগুলোতে আঁকাআঁকি করছেন এই দম্পতি।একসময় শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতিও ছিল অনেক বেশি। প্রতিটি বগি পরিচিতি ছিল বগিভিত্তিক সংগঠন যেমন- ককপিট, অক্টোপাস, একাকার, সিএফসি, এপিটাফ, বিজয়, অলওয়েজ, সিক্সটি নাইন, ফাইট ক্লাব, উল্কা ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস এবং সাম্পান ইত্যাদি নামে। ফলে বগিগুলো নিজেদের মতো করে সাজাতো দখলে থাকা পক্ষগুলো। শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতির কারণে ট্রেনের ভেতর প্রায় ঘটতো মারধরের ঘটনা। এর প্রভাব পড়েছিল ক্যাম্পাসেও। এ কারণে ২০১৫ সালে বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর রাজনীতি বন্ধ করা হয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীন আখতার বলেন, গত ২৮ মার্চ জার্মান শিল্পী লুকাস জিলিঞ্জার আমার সঙ্গে দেখা করে শাটল ট্রেনের বগিগুলো নান্দনিক শিল্পকর্মে সাজানোর প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছি আমরা।
এমনিতেই আগে থেকে শাটল ট্রেনে শিল্পকর্ম ছিল। আমাদেরও শাটল ট্রেনে রঙ করানোর আগ্রহ ছিল। এ কারণে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক ডিআরএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলাচল করা শাটল ট্রেনের বগিগুলো নান্দনিক শিল্পকর্মে সাজিয়ে তুলছেন জার্মান শিল্পী দম্পতি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফরমে এ কার্যক্রম চলছে। শিল্পীদের নিজস্ব সৃজনশীল থিমের পাশাপাশি বগিগুলোতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, রেলওয়ে, সিআরবি, সমুদ্রসহ বাংলাদেশের নান্দনিক সৌন্দর্য তুলে ধরা হচ্চে।সৃত্রে জানা যায়,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান হাটহাজারী উপজেলায়। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে শহর থেকে শাটল ট্রেন সার্ভিস চালু হয় ১৯৮০ সালে। শিক্ষার্থীদের বহনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত জোড়া ট্রেন চলাচল করে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন প্রায় ১০-১২ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন শাটলে।
Discussion about this post