বান্দরবানে থানচিতে হঠাৎ বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পাহাড়ে চারপাশ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার খেটে খাওয়ার মানুষেরা।
গত দু’দিন ধরে শীতে সকালে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে থানচির জনপদ। শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জনজীবনে শিশুসহ বয়স্ক ব্যক্তিদের। সবচেয়ে কষ্টের আছেন এলাকার বসবাস করার নিম্ন আয়ের মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করেছেন অনেকেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, থানচি সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে দক্ষিণ উত্তরের হিমেল হাওয়া বইছে। আকাশের বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা সূর্যের মলিন হাসির দেখা মিললেও নেই উত্তাপ। ফলে মেঘাচ্ছন্ন ও কুয়াছায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে থানচির পাহাড়ে চারইপাশ। এ শীতে ঠান্ডা চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, প্রত্যন্ত এলাকার বসবাস খেতে খাওয়ার মানুষসহ গবাদিপশু পাখি।
স্থানীয়রা জানান, এ শীতের সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া ও দিনমজুররা। কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যা হলেই পাহাড়ে শীতের আবহ তৈরী হয়। অনেকেই কাজ করতে না পারায় শীতে কষ্ট পাচ্ছে। বছরে শুরুতে শীতের প্রকোপ বেড়েছে।
তারা আরো বলেন, এ শীতের দুর্ভোগে শ্রমজীবী পেশা মানুষ। গত বুধবার ৪ জানুয়ারী থেকে দিনের সূর্য ডোবার পর থেকে বেড়ে আরো শীত। শ্রমজীবী পেশা মানুষরা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। ফলে অনেককেই বেকার সময় পার করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ঋতু পরিবর্তনের ফলে শীতকালে শিশুরা খুব অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচতে শীতে শিশুকে আরামদায়ক ও গরম কাপড় পরাতে হবে। এই শীত টানা থাকলে বাড়তে পারে শীতজনিত রোগ।
তিনি আরো বলেন, এ শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হতে পারে শিশু ও বয়স্করা। নবজাতকের অভিভাবকদের অধিক যত্নবান হতে হবে। এছাড়া শিশু অসুস্থ হলে জরুরি ভিত্তিতে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি থোয়াইহ্লা মং মারমা বলেন, পূর্বে চাইতে এই কয়েকদিন যাবৎ প্রচন্ড শীত পড়ছে। আগামীকাল মন্ত্রীর থানচিতে সফরে আসছে, হত দরিদ্র, অসহায় শীতার্থ পরিবারের মাঝে শীত বস্ত্র কম্বল বিতরনসহ জনগনের সাথে মত বিনিময় সভা করবেন মন্ত্রীর।
এদিকে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ আবুল মনসুর বলেন, এ কয়েকদিন ধরে থানচিতে হঠাৎ করে প্রচন্ড শীত পড়ছে। আগামীকাল মন্ত্রীর থানচিতে সফরে আসছে, মন্ত্রী মহোদয় আগমনে কঠোর নিরাপত্তাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
Discussion about this post