চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায়
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। তারা জনগণের ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে আছে। বিগত ৩টি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চোরাপথে জিতেছিল কিন্তু গণতন্ত্র পরাজিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এখানে কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। দেশের সবকিছু দলীয়করণ হয়ে গেছে। তারা যা খুশি তাই করে যাচ্ছে। কিন্তু আগামীতে বাংলাদেশে আর কোন প্রতারণার নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। একদলীয় শাসন জনগণ আর মানবে না। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। তাই, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। ভোট ডাকাতির নির্বাচন আর বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না।
তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী শনিবার বিএনপির জেলা পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে দোস্ত বিল্ডিংস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রস্ততি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়। তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে মানুষের সাংবিধানিক সকল অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। এর থেকে উত্তোরণের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা গণতন্ত্রের লেবাসে কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন। কিন্তু আগামীতে এই অবস্থার শেষ হতে বাধ্য। বাংলাদেশের জনগণ কোনো দিনই তাদের অধিকারকে হারিয়ে তারা নিশ্চুপ থাকেনি। হয়তো সময় লেগেছে কিন্তু সেই সময়ের অবসান হয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবদুল গাফফার চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, খোরশেদ আলম, নুরুল কবির, অধ্যাপক এহসান মওলা, হাজী মো. ইসহাক চৌধুরী, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাষ্টার মো. লোকমান, সদস্য সচিব রেজাউল হক চৌধুরী, বোয়ালখালী পৌর বিএনপির আহবায়ক শহিদুল্লাহ চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান সুজন, জেলা মহিলাদলের সভাপতি জান্নাতুন নাঈম রিকু, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আকতার, কৃষক দলের আহবায়ক মহসিন চৌধুরী রানা, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা মো. ফোরকান, কারামুক্ত ছাত্রদল নেতা আবদুস সবুর প্রমুখ।
Discussion about this post