চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মো.জামাল প্রকাশ ক্যারাটি জামাল (৬০) কে আটক করেছে র্যাব-৭ এর সদস্যরা।শনিবার (৪ মার্চ) রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামী জামাল প্রকাশ ক্যারাটি জামাল উপজেলার মির্জপুর ইউনিয়নের চারিয়া কাজীপাড়া এলাকার মৃত সৈয়দ করিমের পুত্র।মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ বছর আগে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মৃত ভিকটিম আবুল বশর, বাদশাহ ও কাশেমদের সাথে আসামী জামালের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত ২০০৩ সালের মে মাসের ২৬ তারিখ সকাল ১১ টার টিকে জামাল ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র, কিরিচ এবং ধাড়লো চাকুসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাটহাজারী থানাধীন চারিয়া কাজীপাড়া গ্রামে ভিকটিম আবুল বশর, বাদশাহ ও কাশেমসহ ৩ জনকে এলোপাতারি গুলি করে উপর্যপুরি কুপিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে অপরাধীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নিহতদের ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় ধৃত আসামী জামালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-২১(৫)০৩ এবং জি. আর নং- ১৩৯/০৩। পরে মামলাটির বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়। যাহাতে মামলার নম্বর হয় বিঃ ট্রাঃ মাঃ নং- ৪৫/০৪।বিজ্ঞ আদালত সকল সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া কার্যক্রম শেষে উক্ত আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড সহ বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গ্রেফতার এড়াতে উল্লেখিত আসামী গা ঢাকা দেয়। বিষয়টি র্যাব-০৭ কে জানালে উক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজড়দারি শুরু করে। এদিকে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে র্যাব-৭ জানতে পারে উক্ত পলাতক আসামী চারিয়া এলাকার একটি বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে। পরে উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি দল উল্লেখিত বাড়িতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.রুহুল আমিন সবুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে সত্যতা স্বীকার করে জানান, গ্রেফতার কৃত পলাতক আসামী জামাল প্রকাশ ক্যারাটি জামালকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Discussion about this post