যৌতুক না পাওয়ায় এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদন্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার(১৬ মার্চ) দুপুরে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাং আবু তাহের এ রায় দেন।মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী নিহত গৃহহবধূ হালিমা বেগমের স্বামী আব্দুর রশীদ(৪২)। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন শ্বশুর সাহেব আলী(৭০) ও মামা শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম(৬০)। উভয়কে ৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে হালিমা বেগমের হাত পা বেধে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা হাসিনা বেগম মাটিরাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও নিহতের পরিবার।রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এটি ভবিষ্যতে এমন হীন কাজ করার ক্ষেত্রে উদাহরণ স্বরুপ দৃষ্টান্ত হয়ে রবে।
Discussion about this post