আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নিয়ে তথ্য বিকৃত করে দুটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করলো রামগড় ইউএনও মমতা আফরিন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নিজ কার্যালয়ে লিখিত প্রেস রিলিজ পাঠ করে রামগড় ইউএনও । এবিষয় ইউএনও আরও জানায় গত ০৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে দৈনিক আজকের পত্রিকা’ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের নির্মাণ সংক্রান্ত এবং দৈনিক‘ভোরের কাগজে রামগড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের পিলার ধসে যুবক আহত সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ দুইটির তথ্যসমূহের সত্যতা উপজেলা প্রশাসন রামগড়ের পক্ষ থেকে সরেজমিনে স্পটে ভিজিট করে যাচাই করি এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে জানতে পারি তথ্যগুলি মিথ্যা, সংবাদকর্মীগণ বানোয়াট সংবাদ করেছেন। আমি এই নিউজ দুইটির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।রামগড় উপজেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যে ৪৭৬টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে, উল্লিখিত সংবাদের গৃহটি এর মধ্যে নির্মিত হয়নি। মূলত সংবাদের ঘরটি মোটেও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নয়। উল্লিখিত ব্যক্তিটির নিজের খতিয়ানভুক্ত জায়গায় তার বসতঘর পুড়ে যাওয়ার পর ২০২০ সালে অন্য একটি সংস্থা থেকে ঘরটি তাকে করে দেওয়া হয়। এ ঘর নির্মাণের সাথে উপজেলা প্রশাসন রামগড়ের কোনো সম্পৃক্ততা ছিলোনা। উক্ত গৃহটি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে উপস্থিত জনগণের মাধ্যমে জানতে পারি ঘরটির বারান্দার পিলারটিতে কোনো ত্রুটি ছিলোনা। উল্লিখিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিটিও জানিয়েছেন ঘটনার দিনে তার ইজিবাইক পিলারের পাশে চার্জ দিচ্ছিলেন, সামনে একটা ইট দেওয়া ছিলো, তার মেয়ে ইটটি ভুলবশত সড়িয়ে দিলে ইজিবাইকটি পিলারে ধাক্কা দেয়। সেসময় উক্ত যুবক পিলারটি ডান হাত দিয়ে ধরতে গেলে তার হাতে পিলার পড়ে হাত ভেঙ্গে যায়। তিনি বলেন, এ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে যে, কোনো কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদীতভাবে বর্তমান সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের যে উদ্যেগ, সে উদ্যেগকে বাধাগ্রস্থ করতে তথ্য বিকৃত করে এসব মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। যারা এসব মিথ্যা সংবাদ প্রচারের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরে, উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলো।
Discussion about this post