চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গত বছর সেপ্টেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ ও আমদানি নিষদ্ধ বিভিন্ন ধরনের ফল, পেঁয়াজ, ফিশ ফিড, ফ্রোজেন ফিড ধ্বংস করে আনন্দবাজার ডাম্পিং ইয়ার্ডে পুঁতে ফেলেছিল, সেগুলো তুলে ট্রাকে ভরছিল চক্রটি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মেয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট হওয়া মালামাল মাটি খুঁড়ে বের করে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বন্দর থানার ওসি সঞ্জয় সিনহা জানিয়েছেন, সোমবার নগরীর বন্দর থানার আনন্দবাজার ডাম্পিং ইয়ার্ড থেকে নজরুল ইসলাম লিটন (২৬), সুজন কান্তি দে (৩৫), গিয়াস উদ্দিন (৩৪), মো. ইউসুফ (৩৫), আশরাফুল ইসলাম রনিকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আরও এক সঙ্গী পালিয়ে যায়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে পণ্য বোঝাই ৬০টি বস্তাসহ একটি ট্রাকও জব্দ করা, যেসব পণ্য ছয় মাস আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মাটিতে পুঁতে ফেলেছিল বলে পুলিশের ভাষ্য। পুলিশ জানিয়েছে, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ ও আমদানি নিষদ্ধ বিভিন্ন ধরনের ফল, পেঁয়াজ, ফিশ ফিড, ফ্রোজেন ফিড ধ্বংস করে আনন্দবাজার ডাম্পিং ইয়ার্ডে পুঁতে ফেলে। সকালে চক্রের সদস্যরা মাটি খুঁড়ে মালামাল বের করে সীতাকুণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাকে তুলছিল। সে সময় পুলিশ হানা দেয়।বন্দর থানা সূত্রে জানা যায় “গোপন তথ্য ছিল কিছু লোক আবর্জনার স্তূপের মাটি খুঁড়ে কিছু মালামাল ট্রাকে তুলছে। অভিযানে মাটি মেশানো ভূষি সদৃশ ৬০ বস্তাসহ ট্রাকটি আটক করা হয়”। আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি চক্রটির হোতা জানিয়ে পুলিশ “এর আগেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের পুঁতে ফেলা মালামাল চুরির অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে, সোমবারও তার লোকজন পচা মালামালগুলো ট্রাক ভর্তি করছিল সীতাকুণ্ডে নিয়ে যাবার জন্য। যেখান থেকে বাজারজাত করা হতো”। তাদের কাছ থেকে এ ধরনের পণ্য বিক্রির দুই লাখ টাকা পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
Discussion about this post