সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) কখনোই যুদ্ধাপরাধী ছিলোনা, তোমরা এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখো। সাকা চৌধুরীরা বাংলাদেশের একটা এলিট ফ্যামিলি তারা মানুষকে দিয়ে থাকেন। এভাবেই অফিস সহকর্মীদের সাথে অকপটে লাগামহীন ভাবে বলে যাচ্ছেন বন গবেষণাগার এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার। ড. রফিকুল হায়দারের এসব অপ্রাসঙ্গিক কথা ভাইরাল হওয়াতে বেশ কিছুদিন ধরে বন গবেষণাগার ই আলোচনা ও সমালোচনা ঝড় বইছে। এবিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ১ মার্চ ২০২৩ ই স্মারক নং -৪১৯ মূলে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারকে শোকজ করে। গত ৯ মার্চ ২৩ শোকজের জবাব মন্ত্রণালয় পাঠালেও তা সন্তোষ জনক নয় বলে সুত্রে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায় ড. রফিকুল হায়দারের পাঠানো জবাবে ৪টি পয়েন্টে অধিকাংশই ডাহা মিথ্যা বানোয়াট কথা লেখেছেন যাহা শোকজের সঠিক জবাবের অসংগতিপূর্ণ রয়েছে বলে জানান। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর কমান্ডার গ্যারিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ বলেন ড. রফিকুল হায়দার বন গবেষণাগার এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পদে দায়িত্বে থেকে জ্ঞানহীন কথা বলতে পারেনা তার বিরুদ্ধে সরকারি নিয়মানুযায়ী তাকে চাকুরী থেকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় মামলা করা প্রয়োজন। এখানেই শেষ নয় ড. রফিকুল হায়দার কুকর্মের ফিরিস্তি। গোপালগঞ্জের নামে কোনো প্রজেক্ট তৈরি হলে সেই প্রজেক্ট ফাইল তার টেবিলে গেলে অফিস সহকর্মীদের সাথে উচ্চবাচ্য সুরে কথা বলে ফাইল ছিটকে ফেলে দেন বলে জানা যায়। তার ভয়ে অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা তটস্থ হয়ে থাকেন, তিনি মিথ্যাকে সত্য বললে, সত্যকে মিথ্যা বললে সেটাই সঠিক বলে মেনে নিতে হবে তার ব্যতিক্রম হলেই অন্যত্রে বদলি নথবা বেতন বন্ধ অথবা প্রমোশন আটকে গেলো। সুত্র মতে , ১১অক্টোবর ২০২১ সালে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পদে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত যতজন কর্মকর্তা অবসরে গেছেন প্রত্যকের সাথে খারাপ আচরণ ও অবসরের সুযোগসুবিধা নিয়েও ফাইল আটকে দিয়ে সুকৌশলে উৎকোচ আদায় করেছেন। এমনকি চাকুরী দেওয়ার নাম করে কয়েকজনের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা করে নিয়েছেন পরবর্তী কারোরই চাকুরী হয়নি এ বিষয়েও দেনদরবার হলে টাকা ফেরত দিতে রাজি হন। এখানেই থেমে থাকেননি বিশ্বস্ত সুত্রে জানাযায়, ড. রফিকুল হায়দার যে পিএইচডি করেছেন অন্যের (বন গবেষণাগার এর এক মহিলা কর্মকর্তার) থিসিস গায়ের করে নিজের বলে চালিয়ে দিয়ে পিএইচডি সম্পূর্ণ করেন। ড. রফিকুল হায়দার তার চাকরি জীবনে ফিরিস্তিতে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে বিএফআরআই এর প্রজেক্টে জুনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে। বিএনপির আমলেই সুকৌশলে পদ ভাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে পরে বোল্ট পাল্টিয়ে ২০১৬ সালে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় “আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” স্হাপনের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হিসেবে দায়িত্ব নেন। ডোমার উপজেলার ২০ কোটি টাকার প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালীন হরিলুটের বিষয় উঠে আসে। ঐদিকে রাবার বোর্ডকে দেওয়া ৪ টি বাসা বরাদ্দ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ বিষয় ২০ অক্টোবর ২০২০ইং ও ৩১ মে ২১ইং তারিখ দুদক থেকে নোটিশ জারী করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পিছ “পা” হননি। ডোমার উপজেলায় “আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” স্হাপন করা বর্তমানে সেটা অলস বসে আছে, নেই কোনো প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ৫জন অফিস স্টাফ অলস বসে দিনাতিপাত করছেন। প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য যে যন্ত্রপাতি কেনা হয় তা অনেকটাই ঝং ধরেছে এবং নষ্ট হওয়ার পথে। সুত্র মতে আরও জানা যায়, ২০১৭ সালে ড.রফিকুল হায়দার সুকৌশলে জাতীয় পুরস্কার ভাগিয়ে নেয়, পরবর্তী ২০২২ সালে “শ্বেতচন্দনের সফল নার্সারি” হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার জন্য পূর্বের পুরস্কার বিষয় গোপন রেখে পুনরায় আবেদন করেন। সরকারের নিয়মানুযায়ী কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী একবার জাতীয় পুরস্কার পেলে সে আর পরবর্তী পাবেনা। কিন্তু ড.রফিকুল হায়দার নিয়মানুযায়ী আইন ভঙ্গ করে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জাতীয় পুরস্কার হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়, ড.রফিকুল হায়দারের অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার মূল হোতা হিসেবে একজন অতিরিক্ত সচিব কাজ করছেন।
ড.রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠালে অভিযোগ ফাইল গায়েব হয়ে যায় বলেই তার বিরুদ্ধে সঠিক কোনো ব্যবস্হা নেওয়া যায়না এক কর্মকর্তা জানান। সাকা চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলোনা ও গোপালগঞ্জের বিষয় নিয়ে জানতে মুঠো ফোনে কল দিলে প্রতিনিধিকে বলেন এখন অনলাইন মিটিং আছি ঈদের পরে কথা বলবো বলেই মুঠো ফোনের লাইন কেটে দেন।। (চলবে)
Discussion about this post