রমজান মাস ছিল মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ঈমানদার মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ নিয়ামত, প্রশিক্ষণ ও কুরআন মজিদ নাজিলের মাস।
আর পবিত্র মাহে রমজান মাস এসেছিল রহমত, বরকত, নাজাতের বার্তা নিয়ে মুমিন মুসলমানদের দ্বারে দ্বারে। রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় একটি রজনীতেই ছিল কদর রাত যা হাজার মাসের চাইতেও উত্তম এবং মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হইতে তার সবচেয়ে প্রিয় হাবিব আখেরী নবী ও রাসুল মুহাম্মদ (সা:) এর উম্মতের জন্য সওয়াবের স্পেশাল মহা অফার।
* রমজান পরবর্তী করনীয়।
* পরো রমজান মাসজুড়ে যে প্রশিক্ষণ নিয়েছি সেই আলোকে আমাকে রমজান পরবর্তী ১১ মাস প্রতিটি ক্ষেত্রে নেক আমলের মধ্যে দিয়ে ঈমানকে তাজা ও মজবুত করে গড়ে তোলা।
* নেক আমল আরো বাড়িয়ে দেওয়া ও ফরজ নামাজ, ফরজ ইবাদত, ওয়াজিব ও নফল ইবাদত, যিকির আযকারকে প্রতিদিনের সঙ্গী করে ফেলা।
* আযানের সাথে সাথে ফরয সালাত আদায় করা,তাহাজ্জুদের নামাজ ও দীর্ঘ সময় নিয়ে অর্থ সহ কুরআন তেলাওয়াত করা।
* শাওয়াল মাসে ৬টি রোযা রাখা।
* ব্যক্তিগতভাবে গোপনে দান ও সদকা করা, অযথা সময় নষ্ট ও অপচয় না করা।
* পরিবার, প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের সাথে সু- সম্পর্ক ও যথাযথ হক আদায় করা।
* সবসময় হালাল উপার্জন, হালাল খাবার ও পানাহার করা।
* সর্বদাই পবিত্র অবস্থায় থাকার চেষ্টা করা।
* পরের ক্ষতি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা ও পারলে যথাসাধ্য উপকার করা।
* আল্লাহর বড়ত্ব সবখানে প্রকাশ করা এবং রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ তথা আদর্শ অনুযায়ী আমল ও প্রচার করা।
* মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশ সর্বদাই পালন করা ও নিষেধ বর্জন করা। মহান আল্লাহর রহমতের অফুরন্ত বারিধারায় সিক্ত হউক সবার জীবন এবং ইহকাল ও পরকাল জীবনে শান্তি তথা সর্বোচ্চ মনজিল জান্নাতুল ফেরদৌস সকলকেই দান করুন। (আমিন)
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট,
Discussion about this post