বান্দরবানের রুমায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএফ) হামলায় দুই সেনসদস্য নিহত হয়েছেন। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এ ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ১৬ মে( মঙ্গলবার) রাতে রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুল ছড়িপাড়া নামক স্থানে অভিযানে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সেনা সদস্যরা হলেন ১.তৌহিদুল ইসলাম এবং ২.মাসুম আলতাফ, আহত ২ জন সেনা সদস্য হলেন, ১.মেজর মনোয়ার এবং ২.ক্যাপ্টেন ইশতিয়াখ আহমেদ সৈকত।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জারুল ছড়িপাড়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পেয়ে সুংসুংপাড়া সেনাক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল গতকাল রাতে অভিযানে বের হয়। টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে আনুমানিক রাত ১টা ৫৫ মিনিটে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে। এতে দুজন সেনা কর্মকর্তা ও দুজন সৈনিক আহত হন। আহতদের হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের সিএমএইচে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত দুই সৈনিক মারা যান। অপর আহত দুই সেনা কর্মকর্তা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কেএনএ বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহিন অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। দেশমাতৃকার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ সেনাসদস্যদের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে সেনাবাহিনীর প্রধান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এক বার্তায় নিহত সেনাবাহিনীর দুই সদস্য রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আরও জানান পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফ নামক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকাল নাগরিকদের দলমত নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ জানান দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন।
Discussion about this post