কেরামতি নাকি ক্যারেসমেটিক তা নিয়েই ভাবছে গাজীপুরবাসী। টক অব দ্যা টাউন গাজীপুর। সিটি নির্বাচন নিয়ে ছিলো নগরবাসীর কাছে একটা ধূম্রজাল। উভয়ের সমর্থক ও সমর্থনের মধ্যে চলে একাধিক হামলা মামলা। পিছুপা হটেননি জায়েদা খাতুন। গণেশ উল্টে যাবে তা ছিলো নগরবাসীর কাছে চমক। অবশেষে জায়েদা খাতুনই হলো গাজীপুর নগরমাতা। তার এমন বাজিমাতে প্রথম নারী মেয়র পেল গাজীপুরবাসী।জায়েদা খাতুন হলেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মাতা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাতে ৪৮০ কেন্দ্রের ফল ঘোষণার শেষে তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
নির্বাচিত হওয়ার দৌঁড়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লাহ (নৌকা) পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
নির্বাচনে জয়ী হওয়া জায়েদা আগামী পাঁচ বছরের জন্য মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন। জানা গেছে, তার জয়ের খবরে গাজীপুরের লোকজন উল্লাসে ফেটে পড়েন। কেউ কেউ বিজয় মিছিল করেন।
অন্যান্য প্রার্থীদের ফলাফল হিসেবে জানা গেছে- আতিকুল ইসলাম (মাছ মার্কা) পেয়েছেন ১৬৯৭৪ ভোট; এম এম নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল) ১৬৩৬২; গাজী আতাউর রহমান (হাতপাখা) ৪৫৩৫২; মো. রাজু আহমেদ (গোলাপ ফুল) ৭২০৬; মো. হারুন-অর-রশিদ (ঘোড়া) ২৪২৬ এবং সরকার শাহনূর ইসলাম (হাতি) পেয়েছেন ২৩২৬৫ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪৮০টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় ভোট। কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোট নিতে কিছুটা দেরি হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে গাজীপুর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়াম ফল ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
গাজীপুরের এ নির্বাচনে অংশ নেন ৩৩৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী আছেন। এছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে এই নগরের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার আছে ১৮ জন।
Discussion about this post