কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিন দিন বাড়ছে প্রাণহানির ঘটনা। গত দুই দিনে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনার ঈদগাঁও উপজেলার তিন বাসিন্দা নিহত হয়েছে। পৃথক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ জন। হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ী ও চালকদের আটক করেছে। এঘটনায় পৃথক হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে থানায়।
১৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় মহাসড়কের মালুমঘাট হাছিনাপাহাড় পয়েন্টে লবণ ব্যবসায়ী আবদুল মালেক মাঝি (৪৯) ও মোক্তার আহমেদ (৫৫) সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন। নিহত আবদুল মালেক মাঝি ঈদগাঁও ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাত ঝোলাকাটা গ্রামের মৃত নজির আহমদের ছেলে ও নিহত মোক্তার আহমদ
ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর নতুন অফিস এলাকার খলিলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা মোটর সাইকেল যোগে ইসলামপুর থেকে চকরিয়ায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মহাসড়কের চকরিয়া মালুমঘাট হাছিনাপাহাড় পয়েন্টে
লেগুনা, শামিম এন্টার প্রাইজ নামক যাত্রীবাহি ও মোটরসাইকেলের ত্রিমূখী সংঘর্ষ হয়। এতে দুইজন নিহত ও ৪/৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীস্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরআগে ১৮ মার্চ রাত ১০ টায় মহাসড়কের ঈদগাঁও জুমের ব্রীজ এলাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ নামের যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে নিহত হন ঈদগাঁও রশিদ আহম্মদ কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী
মো. আবদুল মজিদ নামের (২২)। তিনি ঈদগাঁও উপজেলা ইসলামপুরে ইউনিয়নের মধ্য৷ নাপিত খালী মাঝের পাড়া গ্রামের আবুল তাহেরের ছেলে।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ পরির্দশক ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, চালকসহ শামীম এন্টারপ্রাইজ নামক যাত্রীবাহি বাস, সেন্টমার্টি দ্বীপ বাস এবং লেগুনা গাড়িটি আটক করা হয়েছে। লেগুনার চালক আহত হওয়ায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে চকরিয়া ও ঈদগাঁও থানায় পৃথক মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post