চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকারের অনুগত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নিত্যয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে সকল প্রকার জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। অযৌক্তিক এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বলেই তারা দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সরকারের দুর্নীতির কারণে এখন প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। বাজারের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছে। তারা কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। চরম দুর্নীতির প্রভাব বাজারে গিয়ে পড়ছে। লাগামহীনভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জনগণকে তার মাশুল দিতে হচ্ছে। দেশকে গভীর সংকটে ফেলে এই সরকার জনগণের কাছে গণদুশমনে পরিণত হয়েছে।তিনি রবিবার (২০ মার্চ) দুুপুরে সরকারের দুর্নীতি ও বাজার সিন্ডিকেটসহ আওয়ামী অপশাসনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের ওয়াইজর পাড়া মাজার গেইট এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ১৮ সালের মত আর একটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের নীলনকশা শুরু করেছে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি আর কোন নির্বাচনে অংশ নিবে না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা হবে।তিনি অবিলম্বে এই বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে সব শ্রেণি পেশার মানুষের জীবন রক্ষা এবং নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি জানান।এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, সাবেক সহ সম্পাদক মো. শাহজাহান, আবুল হাশেম সওদাগর, আবদুল আজিজ, ইসমাইল বাবুল, সদস্য আলী ইউছুপ, আবদুস সবুর, বাকলিয়া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর, বিএনপি নেতা আবদুল হালিম মেম্বার, নাছির উদ্দীন, মহানগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, আজিজুল হক মাসুম, বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম নিরব, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক খান, বাকলিয়া থানা যুবদলের সদস্য সচিব হাজী মো. মুছা, যুবদল নেতা মহিউদ্দীন রনি, মো. ফারুক, নুরুল ইসলাম মাসুম, মাহবুব ছিদ্দিকী, কুতুব উদ্দীন রাজু, মো. ফারহাত, মো. ইলিয়াছ, মো. টিপু, মো. জাবেদ, মো. আলাউদ্দিন, মো. বাবুল, ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মো. হাসান, অপু, খোরশেদ, রকি প্রমূখ।।
Discussion about this post