গত শুক্রবার (২৩জুন) দিবাগত রাত ১টায় চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার অধিনস্হ সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ির অভিযান চালিয়ে আলমাস সিনেমা হলের সামনে রবিদাস কলোনির মুখ থেকে একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ২০ কেজি গাঁজা ও ১ হাজার লিটার চোলাই মদসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. শাহীন (ড্রাইভার), রনজিত তালুকদার, শিবলু দাশ এবং সজল কর্মকার। বিশ্বস্ত সুত্র থেকে জানা যায়, রবিদাস কলোনিটা হলো মাদকের আস্তানা, রাতদিন চলে মাদক বেচাকেনা। নারী-পুরুষ এবং শিশু -কিশোররাও এ মাদক বেচাকেনার সাথে জড়িত বলে প্রকাশ্যে দেখা যায়। অভিযোগ রয়েছে রবিদাস কলোনি চকবাজার থানার অধিনস্হ এবং কয়েক পুলিশ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এ মাদক ব্যবসার আখড়া গড়ে তুলতে সক্ষম। এ মাদকের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাকে হেনেস্তা হতে হয় এবং পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয় বলে জানান। এই রবিদাস কলোনির মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিতি রাজিব দাস। সুত্রমতে জানা যায়, রাজিব দাসই হচ্ছে মাদকের গডফাদার, এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন ধরে মাদকের আস্তানা গড়ে তুলেছে রবিদাস কলোনিতে। রাজিব দাসের প্রধান সহযোগী হিসেবে ইমরান প্রকাশ রোহিঙ্গা ইমরান ও রাজিবের ভাগিনা বাঁধন রবি দাসও মূল হোতা হিসেবে রয়েছে। তথ্যমতে জানা যায়, গত দুই বছর আগে চকবাজার থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর (এস আই) রবিদাস কলোনিতে অভিযান চালাতে আসলে রাজিব দাস সুকৌশলে মাদক বিক্রেতা নারী সাঙ্গপাঙ্গ কাজলী, পুর্নিমা ও চাম্পাকে দিয়ে ঐ এস আই সহ সাথে থাকা পুলিশদের উপর হামলা করে। রাজিব দাসের বিরুদ্ধে সিএমপির চকবাজার থানা সহ কয়েকটি থানায় রয়েছে একাধিক মামলা। রাজিব দাসের আরও দুই সহযোগী স্বপন রবি দাস ও এইচ কে ডব্লিউ কে গত মে মাসের ১ তারিখ মাদকসহ পুলিশ রবিদাস কলোনি থেকে তাদের আটক করে, বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বলেন, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশী করে ২০ কেজি গাঁজা এবং ১ হাজার লিটার চোলাই মদসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Discussion about this post