এবার নতুন পরিকল্পনায় হাঁটছে কেএনএফ। সরকারি রাস্তা গুলোর দিকে নজর পড়েছে। রোয়াংছড়ি উপজেলার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের যাতায়াতের সড়ক গুলোতেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে এ পরিকল্পনা করে উপজাতিয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ। বান্দরবান জেলাধীন রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউপির ক্যাপলং পাড়া সংলগ্ন এলাকায় কেএনএফ এর একটি সশস্ত্র দল কর্তৃক সরকারি ভাবে নির্মিত একটি রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে যানবাহন চলাচল ও স্থানীয় এলাকাবাসীর যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে বলে স্থানীয় সুত্রে খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে, গত শনিবার ২৪ জুন বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে বান্দরবান জেলাধীন রোয়াংছড়ি সদর ইউপির ৬নং ওয়ার্ড ক্যাপলং পাড়া সংলগ্ন দেবতা পাহাড় তিন রাস্তার মোড়ে ১০ থেকে ১২ সদস্য বিশিষ্ট কেএনএফ এর একটি সশস্ত্র দল আগমন করে।পরবর্তীতে সশস্ত্র দলটি ক্যাপলং পাড়া হতে পাইক্ষ্যং পাড়া যাওয়ার পথে চাপ প্রয়োগ করে স্থানীয় গরিব কৃষকদের দিয়ে ব্রিকসলিং রাস্তার মাঝ বরাবর একটি গর্ত খোঁড়ে যেন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । মূলত এই রাস্তাটি দিয়ে মোটরসাইকেল ব্যতীত অন্য যানবাহন খুবই কম চলাচল করে থাকে বলে জানায় পাড়াবাসি। এছাড়া শুধু সেনাবাহিনীর টহল পিকআপ চলাচলের ক্ষেত্রে রাস্তাটি ব্যবহৃত হয়।
ধারণা করা হচ্ছে ক্যাপলং পাড়া, পাইক্ষ্যং পাড়া এবং খামতাং পাড়ায় কেএনএফ এর অবাদ চাঁদাবাজি,অপহরণ ও স্থানীয় বসবাসকারী জনসাধারণের উপর চালানো নির্যাতনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সময়ে যেন পাড়াবাসিদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে না পারে মূলত সেই উদ্দেশ্যেই তারা রাস্তায় গর্তখুড়েঁ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
রোয়াংছড়ি উপজেলায় কেএনএফ এর কিছু সশস্ত্র দল প্রায়শই উপজেলার বিভিন্ন বম পাড়া ও তার আশপাশের এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যাবসায়িদের জিম্মি করে চাঁদা উত্তোলন, শ্রমিক অপহরণ সহ অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করার লক্ষ্যে ঐ এলাকায় অস্থায়ী ভাবে অবস্থান করে থাকে। প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি ভাবে নির্মিত এই রাস্তাটি ব্যাবহার হতো বসবাসকারী জনসাধারণের দৈনন্দিন যাওয়া আসা ও উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য পরিবহনের কাজে। কেএনএফ এর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারনে একদিকে যেমন সরকারি সম্পদ নস্ট হচ্ছে, অন্য দিকে স্থানীয় বসবাসকারী জনসাধারণের জীবনমানের উন্নয়নে নেমে আসছে কালো ছায়া। দ্রুত সময়ে এই রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঐ এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণ।
Discussion about this post