আগামী ৩০ জুলাই হতে পারে চট্টগ্রাম -১০ আসনের সাংসদীয় উপ-নির্বাচন। সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমিনের আকস্মিক মৃত্যুর পর এই আসনটি শূন্য হয়ে পরে। নিয়মানুযায়ী তিনমাসের মধ্যে উপ-নির্বাচন মধ্য দিয়ে তা শূন্য আসন পূরণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম ১০ আসন উপ-নির্বাচনে সরকার দল আওয়ামী লীগ থেকে ৬/৭ জন প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ চলছে। এদিকে স্হানীয় জনসাধারণ ত্যাগী নেতা খুঁজে নিতে চাইছে খোকাকে। বিগত চল্লিশ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে স্হানীয় জনসাধারণের মাটি ও মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে খোকা। পুরো নাম মোঃ দেলোয়ার হোসেন খোকা ১৯৮২ সালের পর থেকে কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয়। ছাত্রলীগের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের মাধ্যমে যুবলীগের হাল ধরেনে এবং ওয়ার্ড যুবলীগ থেকে শুরু কর পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ১নং যুগ্ম- আহ্বায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। স্হানীয়দের মতে দেলোয়ার হোসেন খোকা যেমন রাজনীতিতে ত্যাগ স্বীকার করেছে তেমনি পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিকতার মধ্য দিয়ে সামজিক সংগঠন গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে কখনো নিজেকে ক্ষমতার অপব্যবহার বা রাজনৈতিক বেচা-কেনার পক্ষপাতি ছিলেননা। অসহযোগ আন্দোলনের ভূমিকা ছিলো খোকার একটা রূপরেখা। আওয়ামী লীগ ৭৫ সালের পর ক্ষমতা হারানোর মধ্য দিয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতার বাহিরে থাকলেও দেলোয়ার হোসেন খোকা আওয়ামী লীগ পরিবারের হয়ে লড়াই সংগ্রাম করে গেছে। বাবা সরকারি চাকুরী করতেন, চাইলে সরকারি চাকুরীতে যোগ দিয়ে অন্য একজীবন গড়ে তুলতে পারতো। কিন্তু এই রাজনীতির জন্য সরকারি চাকুরীতেও যোগ দেননি। স্হানীয় জনগণের সাথে আলাপে জানা যায়, দল কাকে দিবে নমিনেশন তা অবশ্যই দলের হাইকমান্ডের বিবেচনায় আছে, কিন্তু আমাদের দাবী একটাই দেলোয়ার হোসেন খোকার মতো সচ্ছ ও ত্যাগী নেতাকে মূল্যায়ন করা হোক। যে নেতা মাটি ও মানুষের কথা বলবে, জনগণের পাশে থাকবে। মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা কর্মী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) তাদের সাথে আলাপকালে বলেন চট্টগ্রাম ১০ আসেন যোগ্য প্রার্থী দিতে হবে এবং স্হানীয় দলের কান্ডারী হিসেবে দেলোয়ার হোসেন খোকার মতো ত্যাগীরাই পাওয়ার আশাবাদী, এখানে কোন ভাড়াটিয়া নেতাদের দেওয়া উচিৎ হবেনা বলে মনে করেন। দেলোয়ার হোসেন খোকা আমাদের নতুন সময় প্রতিনিধিকে জানান আমি দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি, মূল্যায়ন করার দায়িত্ব দলের, আর মাঠে মূল্যায়ন করবে আপামোড় জনগন। দল যেটা সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই মাথা পেতে নেবো এবং দলের হয়ে সবসময় কাজ করাই আমার কর্তব্য বলে মনে করি।।
Discussion about this post