আগামী ২২ জুলাই ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে সমাবেশ করার অনুমতি চাইতে ১৭ জুলাই (সোমবার) চট্টগ্রাম সিএমপি কার্যালয়ে যান এডভোকেট শামসুল আলমের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের একটি আইনজীবি প্রতিনিধি দল। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবীসহ ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী। এ উপলক্ষে গত ১৫ জুলাই শনিবার সমাবেশের অনুমতি ও সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে সিএমপি কমিশনার বরাবর একটি চিঠিও দেয় নগর জামায়াত। তারই প্রেক্ষিতে সমাবেশের অনুমতির সর্বশেষ অবস্থা জানতে সিএমপি কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান চট্টগ্রাম জামায়াতের একটি আইনজীবি প্রতিনিধি দল।
সিএমপি কার্যালয় থেকে বের হয়ে এডভোকেট শামসুল আলম বলেন, সভা-সমাবেশ করা জামায়াতের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে লালদিঘী ময়দানে সমাবেশ করতে চাই, অতীতেও এই বীর চট্টলার মাটিতে আমরা অসংখ্য সভা-সমাবেশ করেছি, যা ছিল সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অনুকরণীয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে সভা-সমাবেশ করার অধিকার সকলের রয়েছে, এ কারণে কারো অনুমতির প্রয়োজন নেই, পুলিশ প্রশাসন কেবল সমাবেশের শৃঙ্খলা, মাইক ব্যবহারসহ কয়েকটি বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। আমরা সেই বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানতে সিএমপি কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছি, তিনি ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে একজন সিনিয়র দায়িত্বরত অফিসার আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে শীগ্রই জানাবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। চট্টলার সর্বস্তরের জনতা প্রস্তুত, ইনশাআল্লাহ ২২ জুলাই লালদিঘী ময়দানে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট সৈয়দ এহতেশামুল হক, এডভোকেট আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটির সাবেক নির্বাচিত সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট কবির হোসাইন, এডভোকেট জিয়াউল হক জিয়া, এডভোকেট আরিফুর রহমান, এডভোকেট আফসারুর রশীদ, এডভোকেট ফরিদুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটির নির্বাচিত সদস্য এডভোকেট মিনহাজ উদ্দিন, এডভোকেট আবুল মোজাফফর, এডভোকেট সাদ্দাম হোসেন আজাদ।
Discussion about this post