কুমিল্লার মুরাদনগরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জালাল ভুইয়া (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার ৮ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গত ১৬ জুলাই বাঙ্গরা বাজার থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ।শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যবসায়ী মারা যান।মৃত জালাল ভুইয়া উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কুরুন্ডী গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।মৃত জালাল ভূইয়ার ভাই জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়ীর পাশেই আমার ভাইয়ে দোকান। গত ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকেলে দোকানের পাশের রুপ মিয়ার বাড়ীতে বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে একই গ্রামের মুক্তু মিয়ার ছেলে সুমনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তার। পরে সেখান থেকে জালাল নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসার পর সুমন আবারো তার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এসময় উপস্থিত লোকজন জালাল আর সুমনের মধ্যে মিমাংসা করে দেয়। সুমন সেখান থেকে চলে গিয়ে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার ভাই কাজল, ইউসুফ, শিবির মিয়া, রুপ মিয়া তার ছেলে আল আমিন, সুজন ও মাতু মিয়ার ছেলে সাইদুলসহ ৪ থেকে ৫ জন ব্যাক্তি জালালের দোকানে এসে কাঠের লাঠি, রামদা দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুত্বর জখম করে সেখানে ফেলে রেখে যায়।
স্থানীয় লোকজন জালালকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তাদেরও জীবননাশের হুমকি দেয় সুমন ও তার সাথে থাকা লোকজন। পরে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালে প্রেরণ করা হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রিয়াজ উদ্দীন চৌধূরী বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জন জামিনে রয়েছে। বাকি ৪ জনসহ অজ্ঞাতনামীয়দের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Discussion about this post