চট্টগ্রাম সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, রাউজান ও তিন পার্বত্য রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের ভারি বর্ষণে তিন পার্বত্য জেলার প্রায় ২৪০টি স্থানে ছোট-বড় ভাঙন ও পাহাড় ধস হয়েছে।পাহাড় ধসের কারণে প্রায় কয়েক হাজার পরিবারের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। চট্টগ্রামসহ তিনি পার্বত্য জেলার ৩০টির অধিক ব্রিজ -কালর্ভাট ৩০ টির মতো বিদ্যুতের খুঁটিও এবং ২ হাজার একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলাার মহাসড়ক ৯০টি স্হানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে ২০টি স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৫০০ ঘর ও ২০টি হাটবাজার পানিতে ডুবে আছে। এদিকে পানির স্রোতে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা যায়।বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে থাকা ব্রিগেড অধিনস্হ জোন সদর দপ্তর ও বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দ্রুত চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্হা করছে সেনাবাহিনী। চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও চকরিয়া উপজেলার সড়কের উপর দিয়ে বন্যার পানির স্রোত বয়ে চলায় হাজার হাজার গাড়ি পথেই আটকা পড়ে আছে। পর্যটনে আসা পর্যটকদের বাড়ি ফিরতে ভিষণ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান।
Discussion about this post