‘পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সুফিজ’ এর প্রেসিডেন্ট ও মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, ২১শে মার্চ বিশ্বজুড়ে ‘আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ দিবস’ পালিত হচ্ছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বর্ণবৈষম্যের করালগ্রাস পৃথিবীকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছে। সাদা-কালোর মাঝে দ্বন্দ্ব পৃথিবীতে বড় বড় সংঘাত, একের ওপর অন্যের অত্যাচার নিপীড়নের করুণ ইতিহাস তৈরি করেছে। বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর শেতাঙ্গদের দমন পীড়নের ঘটনাই বেশি। আধুনিক যুগে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সনদ স্বাক্ষর, নীতিমালা অনুসরণের পরেও বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। কারণ এটি মূলত একটি আদর্শগত বিষয়। সমগ্র সৃষ্টিকুলের জন্য রহমত হয়ে মানবতার মহান দূত, আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পৃথিবীতে শুভাগমন করেছেন। তিনি ধনী-গরিব, কালো-সাদা, জাতি-গোত্রভেদে বৈষম্য দূর করে সকলকে সমমর্যাদা দান করেছেন। তিনি কারো ওপর কারো কতৃত্বকে স্বীকৃতি দেন নি। ইসলামের দৃষ্টিতে সকলেই মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি এবং সকলের চেহারা নয়, তার কর্মই তার মর্যাদা নির্ধারণ করবে। মুসলমানদের পবিত্র হজ পালনে যখন সমগ্র বিশ্বের মুসলিমরা পবিত্র মক্কা শরীফ, মদীনা শরীফে একত্র হন, তখন ইসলামের এ ভাতৃত্ববোধ ও বৈষম্যহীন দর্শন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই বর্তমান অশান্ত বিশ্বে, মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি গড়তে হলে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অনুপম আদর্শের দিকেই বিশ্বকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
২০শে মার্চ, ২০২২ চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ) উপলক্ষ্যে ‘হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) স্মৃতি সংসদ আয়োজিত সুন্নী সম্মেলনে “মেহমান-এ-আ’লা” এর বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ কলিমউদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, মরহুম আলহাজ্ব আবুল কাশেম লেদু চেয়ারম্যান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, জনাব আলহাজ্ব লোকমান হাকিম। উদ্বোধক ছিলেন, ইমাম হোসাইন (রাঃ) সুন্নীয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক, মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ। প্রধান বক্তা ছিলেন আল্লামা হাফেজ আশরাফুজ্জামান আল ক্বাদেরী।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মুফতি আজমাইন আসরারসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম।
হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ শেষে বিশ্ববাসীর কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর একতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। হাজারো আশেকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
Discussion about this post