ভালোবাসা কখনো মরতে পারেনা। হাজারো স্মৃতি অনন্তকাল বেঁচে থাকার অবলম্বন। সত্যি কি ফাহমিদা হেরে গেলো? ফাহমিদা মরে যায়নি, দেহ নিথর হলেও স্পন্দন ভালোবাসা অমৃত স্বাদে রূপায়িত এক গল্পের জীবন। ক্যান্সারের কাছে হেরে গেলেও ভালোবাসাকে করেছে জয়।
১২ দিন আগেই হাতে মেহেদী লাগিয়ে রাঙা হাতে ভরণ করে নিয়ে ছিলো ভালোবাসার মানুষ মাহমুদুল কে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও সুখের বাঁধনে বাঁধবেন স্বপ্নের ঘর। মাহমুদুলের হাতে হাত রেখেছিলো গত ৯ মার্চ। উভয় পরিবারের সম্মতিতে হাসপাতালে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু ১২ দিন না পেরুতেই এলো দুঃসংবাদ। অবশেষ ভালোবাসার বুকেই নিশ্বাস নিয়ে ক্যানসারের কাছেই হেরে গেলেন ফাহমিদা। সোমবার (২১ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে বেসরকারি হাসপাতাল মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
২৬ বছর বয়সী ফাহমিদা চট্টগ্রামের বেসরকারি চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেন। শিক্ষাজীবনেই ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করা মাহমুদুলের সঙ্গে ফাহমিদার পরিচয় হয়। দুই পরিবারের মধ্যে তাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানাজানি ছিল। বিয়ের কথাবার্তাও হয় ২০২০ সালের শেষ দিকে। কিন্তু গত বছরের জানুয়ারি মাসে ফাহমিদার রেকটাম ক্যানসার ধরা পড়ে।
মেডিক্যাল সেন্টারের জেনারেল ম্যনেজার শাহ আলম ভূইঁয়া বাংলানিউজকে বলেন, সকালে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সোমবার বাড়ি ফিরলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ভোরে ফাহমিদাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Discussion about this post