গোলটেবিল আলোচকরা
প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরবাসীর। বিগত ১৫ বছর ধরে প্রকট আকারে ধারণ করছে এই জলাবদ্ধতা। উন্নয়নের নামে একদিকে হরিলুট অন্যদিকে জনসাধারণের সাথে ধোঁকাবাজি। জনগণ টেক্স দিয়েই যাবে আর কর্মচারী প্রভু নামক ব্যক্তি হয়ে উল্টো জনগণকে দাসত্ব বানিয়ে হুকুমজারি করে। সেবাতো দিচ্ছেনা উল্টো সেবা নেওয়ার হুমকি দেয়। এই অবস্থায় চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরটি বাসযোগ্য হারাবে তেমনি ময়লার ডিপো হিসেবে পরিনত হবে বলে বলেন গোলটেবিল আলোচকরা। ১৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সুলতান আহমদ মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি কর্তৃক নাগরিক সংলাপ (গোলটেবিল) আয়োজন করে। আলোচকরা একমত পোষণ করে আরো বলেন জলাবদ্ধতার নামে একের পর এক বাজেট বাড়িয়ে চলছে কিন্তু নগরবাসীর ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন ঘটছেনা। সুফল পাচ্ছেনা নগরবাসী তেমনি চট্টগ্রাম সুন্দর শহরটিকে ময়লার ডিপো বানাতে শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। জলাবদ্ধতা নিয়ে দুইটি সেবা নামক প্রতিষ্ঠান সিডিএ ও চসিক তামাশা শুরু করেছেন নগরবাসীর সাথে মশকরা হিসেবে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে দায়সারা বক্তব্য দিচ্ছেন।
চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচাতে হলে এই দায়সারা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি আওতায় আনতে হবে, এবং মেঘাপ্রকল্প গুলোর সাথে সচেতন নাগরিকদের সর্ম্পিক্ততা থাকতে হবে। প্রজাতন্ত্রের চাকর যদি প্রভু সাজতে চায় তাহলে তার জবাব দেওয়ার জন্য জনবান্ধবমুখী গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গোলটেবিল আলোচনায় গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক ডা. অপূর্ব নাথ এর সভাপতিত্বে ও মহানগর এর সদস্য সচিব মিজানুর রহিম চৌধুরী বাবুর সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন- ট্রান্সপোর্ট বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন বিষয়ক গবেষক ইঞ্জিনিয়ার সুভাস চন্দ্র বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি ডাঃ মাহফুজুর রহমান, হালদা নদী রিসার্চ ল্যাবরেটরির অধ্যাপক ও সমন্বয়কারী ড. মুহাম্মদ মনজুরুল কিবরিয়া, করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের শিক্ষক প্রফেসর মুহাম্মদ আমির উদ্দিন, কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি ও আমাদের নতুন সময় চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান কামাল পারভেজ, চুয়েট’র দূর্যোগ প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ সহযোগী অধ্যাপক
ড. আবুল হাসান, দ্যা ব্যুরো চীফ বিজনেস স্ট্যন্ডার্ড
শামসুদ্দিন ইলিয়াস, সুজিত সাহা (ডেপুটি ব্যুরো চিফ, বণিক বার্তা), তানিয়া মাহমুদা তিন্নি (সমাজতত্ত্ব ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়), রিতু পারভিন (পরিবেশ আন্দোলন সংগঠক), প্রীতম দাস (ভোরের কাগজ) সহ আরো বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ। উক্ত সংলাপে বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে নগরবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, শহিদ শিমুল, এড. ফাহিম শরীফ খান, নাসির জোশি, হাসান মুরাদ শাহ, মোরশেদ আলম, নুরুন্নেছা মুন্নি, সৌমেন দাশ ও শেখ মঈনুল আজাদ প্রমুখ।।
Discussion about this post