ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯তম জন্মোৎসব উদযাপন উপলক্ষে বর্ণিল আয়োজনে খাগড়াছড়িতে
মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর)খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় লক্ষ্মী নারায়ন মন্দির প্রাঙ্গণে বর্ণিল এ অনুষ্ঠানের
আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলার শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ’ এর সহ-সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য্য। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান শুভ উদ্বোধন করেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ একটি বহু ভাষা, বহু জাতি ও বহু ধর্মের দেশ। এদেশ সকল সম্প্রদায়ের, সর্বপরি আমাদের সকলের। তাই তো ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এজন্যেই আমাদের মাঝে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি,একে অপরের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার সৎ ও বিচক্ষণ চিন্তার মাধ্যমে এদেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তির সাথে সহাবস্থানে বসবাস করছে। তারা সততা,নিষ্ঠা,এবং মহৎ উদ্যোগের কারণেই আমরা সোনার বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশের শান্তি সুরক্ষার জন্য বারবার শেখ হাসিনার আবির্ভাব হতে হবে। সকল ধর্ম যার যার মতাদর্শের মাধ্যমে শান্তির সাথে পালন করতে পারছে।
ধর্ম মতে,শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন দেবকি ও বাসুদেব এর সন্তান এবং হিন্দু ধর্মাম্বলীরা তার জন্মদিন জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় চারদিকে অরাজকতা, নিপীড়ন, অত্যাচার চরম পর্যায়ে ছিল। সেই সময় মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। সর্বত্র ছিল অশুভ শক্তির বিস্তার। শ্রীকৃষ্ণের মামা কংস ছিলেন তার জীবনের শত্রু। মথুরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সাথে সাথে সেই রাতে তার বাবা বাসুদেব তাকে যমুনা নদী পার করে গোকুলে পালক মাতা পিতা যশোদা ও নন্দর কাছে রেখে আসেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’র সভাপতি সুদর্শন দত্ত উপস্থিত ছিলেন ।
Discussion about this post