একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই যুগের রক্তাক্ত বিদ্রোহের অবসান ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ নামে একটি অসম চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সেই চুক্তির ফলে পার্বত্য উপত্যকায় বসবাসরত বাঙ্গালীদের সাংবিধানিক অধিকার তথা তাদের ন্যায্য মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে চরমভাবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অনিবন্ধিত সংগঠন জেএসএস, ইউপিডিএফ, ইউপিডিএফ (সংস্কার), মগপার্টি (এমএলপি) ও কেএনএফ সহ তাদের অন্যান্য সংগঠন প্রতিনিয়ত নিরীহ বাঙ্গালীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। গুম, হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ সহ বর্বরতম সব ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে বাঙ্গালীদের উপর। এসব বর্বরতায় এবং অত্যাচারে বাঙ্গালীরা হারাচ্ছে তাদের ভিটেমাটি, এমনকি অনেকে হারাচ্ছে তাঁজা প্রাণ। ১৯৯৭ সালে চুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এসব অত্যাচার চলে আসছে। ২ডিসেম্বর ( শনিবার) সকাল ১০.৩০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এস রহমান হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি’র) কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যেগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পিসিএনপি’র চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান। বক্তব্যে আরও বলেন উপজাতিরা রাষ্ট্রীয় যেসকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে অপরদিকে ঠিক তার বিপরীতে বাঙ্গালী পরিবারগুলো তা পাচ্ছেনা। তাই চুক্তির সকল ধারা বাতিল করতে হবে এবং পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি নির্দিষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতীয় রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে। যাতে শুধুমাত্র উক্ত নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অপর একটি বৃহৎ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই পার্বত্য চুক্তিতে বাংলাদেশের সমতলের জেলাগুলোর মানুষকেও উপেক্ষা করা হয়েছে জমি কেনাবেচা ও বসতি স্থাপনে অন্তরায় সৃষ্টির মাধ্যমে। তাই এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, একটি সুনির্দিষ্ট উপজাতি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে গিয়ে রাষ্ট্রের একটি বিশাল বাঙ্গালী গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। (সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদ: সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী)। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন
এ-সময় উপস্থিত ছিলেন পিসিএনপি’র মহাসচিব মোঃ আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের, কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল মজিদ, কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমীন, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোঃ শাহজালাল, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম বাতেন, চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এম এ আমিন, ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস প্রমূখ।
Discussion about this post