চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানবতা ও মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই। আওয়ামী লীগ সরকার এখন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত হয়েছে। তারা দেশ থেকে ন্যায়বিচার দূর করে দিয়েছে। সরকার নিষ্ঠুর দমন পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করার চেষ্টা করছে। তারা দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস শুধু একদিন নয়, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের জন্য এখন প্রতিদিনই মানবাধিকার দিবসে পরিণত হয়েছে। আজকে গুম, খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা তাদের কথা বলতে পারে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সরকার রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে এমনভাবে টিকে থাকতে চায় যাতে তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দও করতে না পারে। দেশের জনগণ, সব বিরোধী দলের বিরোধিতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠেছে। আওয়ামী লুটেরা চক্র এবং তাদের দোসররা এখন এমপি হওয়ার জন্য জনগণের কাছে নয়, গণভবনের দিকে ছুটছেন। শেখ হাসিনার একগুয়েমি দেখে মনে হচ্ছে, এইটা কোন ইলেকশন নয়, বানরের পিঠা ভাগাভাগির সিলেকশন।
তিনি রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার মানব বন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মানব বন্ধনে চট্টগ্রামে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য এবং মামলা হামলায় জর্জরিত বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সিএমইউজে সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. জানে আলম সেলিম।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশকে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গুটিকয় উচ্ছিষ্ট ও দল থেকে বিতাড়িত কিছু জনধিকৃতকে টাকার বিনিময়ে ভাগিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন লোক ভাগাভাগীর দলে পরিণত হয়েছে। তাই দেশ ও জাতিকে এই অপশক্তির হাত থেকে বাঁচাতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপ্রতিরোধকে আরও শানিত করতে হবে।তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে মুসলমানদের নৃশংস হত্যায় ইসরাইলী বাহিনীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনের নামে সরকার যা করছে, তা বেআইনি সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু নয়। তাই দেশের জনগণ আওয়ামী ভাগবাটোয়ারার পাতানো নির্বাচনে কোনও সহযোগিতা করবে না। মানুষ এই একতরফা নির্বাচন বর্জন করবে।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, মামলা দিয়ে রাজনীতিবিদদের দমন করা যায় না। এতে তাঁদের জনপ্রিয়তা বাড়ে। বিএনপি ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করছে। বর্তমানে যে অবস্থা চলছে, তার পরিবর্তন হবেই। ভোটের মাধ্যমে বিএনপি সেই পরিবর্তন আনবে।মানব বন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলার যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন, মহানগর আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, দক্ষিণ জেলার সদস্য এড. ফোরকান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, এড. ফৌজুল আমিন, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, হুমায়ুন কবির আনসার, নুরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, এডভোকেট কাশেম চৌধুরী, উত্তর জেলার সদস্য এড. আবু তাহের, জসিম উদ্দিন শিকদার, আবু আহমেদ হাসনাত, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, জাকের হোসেন, মহানগর যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া প্রমূখ।
Discussion about this post